পিএনএস ডেস্ক: নওগাঁর আত্রাইয়ে চিনিআতপ ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। এতে সেখানকার কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আমন মৌসুমে সব থেকে উন্নত জাতের এ ধান চাষ করে এখন স্থানীয় কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন। ধান ঠিক পাকার মুহূর্তে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে গাছের গোড়া পচে যাচ্ছে এবং শীষ মরে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ভোঁপাড়া ও মনিয়ারী ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি, জামগ্রাম, তিলাবদুরী, কচুয়া, মাড়িয়া, নওদুলী, চৌথল, পালশা, কয়েড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রতি বছরের মতো এবারো ব্যাপক হারে চিনিআতপ ধানের চাষ করা হয়েছে।
এই ধানের উৎপাদনে খরচ কম এবং বাজারে দাম বেশি থাকায় এটি কৃষকদের লাভজনক আবাদ। অধিক লাভের আশায় এ আবাদ করে এবার কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। কারণ ধান পাকার মুহূর্তে এসে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে জমিতেই ধানের শীষ মরে যাচ্ছে।
কচুয়া গ্রামের কৃষক খোদাবক্স বলেন, আমি এবার বেশকিছু জমিতে চিনিআতপ ধানের চাষ করেছি। শেষ মুহূর্তে এসে ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। জমিতে গেলে মাথায় হাত দিয়ে শুধু কাঁদতে হয়।
একই গ্রামের কৃষক মনতাজ বলেন, চিনিআতপ ধানের শীষ যে হারে মরে যাচ্ছে তাতে এবার আমাদের উৎপাদন খরচই উঠবে না। তাই আমরা হাতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
চৌথল গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন, প্রতিবারেই আমরা ধানের আবাদ করে লোকসানের শিকার হই। এবারে বাজারে ধানের দাম ভালো তাকলেও ধানগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ায় উৎপাদন খরচ ওঠা কঠিন হবে।
আত্রাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কেএম কাওছার হোসেন বলেন, এই অঞ্চলে যে চিনিআতপ ধান এটাকে ব্রি-৩৪ ধানের জাত বলা হয়। এ ধানের বীজ কৃষকরা নিজেরাই তাদের পূর্বের ধান থেকে তৈরি করে থাকে। এ জন্যই এ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগ বেশি দেখা দিয়েছে। তারপরও এ রোগ যাতে বিস্তার করতে না পারে সে জন্য মাঠপর্যায়ে আমরা ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছি। অল্পতেই যারা আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের ধান খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
পিএনএস/আলআমীন
আত্রাইয়ে দিশেহারা কৃষক
04-12-2016 02:54PM