বাউফলে ধানের বাজারে উর্ধ্বগতি

  20-12-2016 04:43PM

পিএনএস, পটুয়াখালী: দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম ধানের মোকাম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বাজারে ধানের দাম এ সপ্তাহে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধানের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি ঝিলিক। বিগত বছরের দেনা পরিশোধ করে কৃষকরা এ বছর লাভের মুখ দেখবেন বলে জানিয়েছন। চলতি বছর প্রথম দিকে ধানের বাজার মন্দা যাওয়ায় উৎপাদিত ধান নিয়ে কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এই সপ্তাহে প্রতিমণে প্রায় ২০০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা লোকসানের পরিবর্তে বরং লাভের মুখই দেখবেন বলে স্থানীয়রা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাউফলে ৩৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ও বিরামহীন ভাড়ি বর্ষণে সারে ১২ হাজার হেক্টর জমির ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও বাউফলে আমনের বাম্পার ফলনই হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলনে বর্গাচাষী ও প্রন্তিক চাষিরা ঘূণিঝড় ও ভাড়ি বর্ষণের ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছেন। মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম নিম্নমূখী হওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু গেল সপ্তাহ থেকে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিদের সে হতাশা কেটে গেছে।

সোমবার কালাইয়া বাজারে সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতি মণ (৪৮ কেজি) মোটা ধান ৮৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গেল দু’সপ্তাহ আগে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

চাষিরা জানিয়েছেন, বীজ, সার ও শ্রমিক খরচ দিয়ে প্রতিমণ ধান উৎপাদনে প্রায় ৫৯০ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজার স্থিতিশীল থাকলে বিগ দেনা পরিশোধ করে কিছু লাভ নিয়ে ঘরে ওঠা যাবে।

কালাইয়া বাজারে চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান ক্রয় করতে আসা মহাজনরা জানান, মৌসুমের শুরুতে বাজারে ওঠা ধান পুরোপুরি পাকে না এবং ওই সময় ধান অধিকতর কম শুকানো হয়। ফলে দাম কম থাকে। এখন ধান পুরোপুরি পেকে গেছে। যার কারণে দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কালাইয়া বাজারের আরতদার জয়নাল মিয়া জানান, উলানিয়া ও গলাচিপা মোকাম থেকে কালাইয়া বাজারে ধানের দাম সব সময়ই বেশি থাকে। মৌসুমের শুরুতে চাষিরা কাঁচা-পাকা মিলিয়ে ধান কাটে। একারণে মৌসুমের দু’ এক সপ্তাহ ধানের বাজার দর কম থাকে। কালাইয়া বাজারে আমদানি করা ধান মান সম্মত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মহাজনরা দান ক্রয়ে আগ্রহী থাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও ভাড়ি বর্ষণেরর কারণে যে ধরণের ক্ষতির আশংকা করা হয়েছিল সেটা হয়নি। ধানের বর্তমান মূল্য স্থিতিশীল থাকলে কৃষরা ধান উৎপাদনে আগ্রহী হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ জামান বলেন, সরকার বরিশাল বিভাগ থেকে ধান ক্রয় করছেন না। যদি ক্রয় করা হতো তবে কৃষকরা আরো উপকৃত হতো।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন