পদ্মার চরে রসুনের বাম্পার ফলনের আশা

  03-01-2017 06:00PM

পিএনএস: রাজশাহীর বাঘার পদ্মার চরে রসুনের চাষ হয়েছে। রসুন পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষীরা। এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

মঙ্গলবার পদ্মার মুর্শিদপুর চরে রসুন চাষ পরিদর্শন করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম। তিনি চাষীদের সঠিকভাবে রসুন চাষ পদ্ধতির পরামর্শ দেন।

মুর্শিদপুর চরের আলম হোসেন বলেন, বিভিন্ন এনজিও ও মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে রসুন আবাদ করেছি। রসুন তুলে তাদের টাকা পরিশোধ করব।

চকরাজাপুর চরের খোয়াজ সিকদার বলেন, এবছর তিন বিঘা জমিতে রসুন লাগিয়েছি। আশা করছি ফলন বাম্পার হবে। গতবারের মত এবারও দাম ভাল আশা করছি।

পলাশি ফতেপুর চরের শ্রমিক আজগর হোসেন, আক্তার হোসেন, নাসিম আলী বলেন, চলতি মৌসুমে রসুন উৎপাদন করে চরের অধিকাংশ চাষীরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি ভাল মজুরি পেয়ে আমাদেরও সুবিধা হচ্ছে।

চকরাজাপুর চরের রসুন চাষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, রসুন চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি। বম্পার ফলনের আশায় এবারও চার বিঘা জমিনে রসুন আবাদ করেছি।

চরের সাবেক মেম্বার রেজাউল করিম বলেন, গতবছর রসুনের দাম পেয়ে এবছর চরের অধিকাংশ লোক রসুনের আবাদ করেছে। রসুন চাষ করে তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন।

বাঘা হাটের রসুন ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, মোকামে রসুনের যথেষ্ঠ চাহিদা থাকে। ফলে স্থানীয় বাজারে পাইকারী ক্রেতার সংখ্যা বেশি হয়। ফলে রসুন নিয়ে চাষীদের কোনো চিন্তা নেই। ভারত থেকে রসুন না আসলে চাহিদা ও দাম থাকবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম বলেন, এ বছর উপজেলা সর্বত্রই রসুনের চাষ হয়েছে। উপজেলার দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে যে পরিমাণ রসুন চাষ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে পদ্মার চরে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে গত বছরের রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকায়। কিন্তু এবার প্রতি মণ রসুনের গড় উৎপাদন খরচ হবে তিন হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা।


পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন