পিরোজপুরের বোম্বাই মরিচের কদর সারা দেশে

  15-01-2017 11:50AM

পিএনএস ডেস্ক: প্রকৃতিতে এখন চলছে ঘনঘোর শীত। শীতে সব ধরনের সবজিতে যেন একটু বেশিই স্বাদ। তারপরও খাবারে আর একটু স্বাদ লাগিয়ে তুলতে গরম ভাতের সঙ্গে কাঁচা বোম্ভাই মরিচের কদর রয়েছে বাঙালি পরিবারের ছোট বড় থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবার কাছে।

আর সেই কাঙ্খিত সুগন্ধি বোম্বাই মরিচের সিংহ ভাগেরই চাহিদা যোগাচ্ছে পিরোজপুরের নেছারাবাদের (স্বরুপকাঠী) আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের মাহমুদকাঠির মুসলিমপাড়া গ্রামের আগামজাতের বোম্বাই মরিচ চাষিরা।

প্রতিনিয়ত বেপারীরা (পাইক্রারি বিক্রেতা) মাহমুদকাঠির মুসলিমপাড়া এলাকার প্রধান সড়কের পাশের চাষিদের কাছ থেকে প্রতিটি মরিচ সংগ্রহ করছেন দেড় থেকে দুই টাকা দামে। পরে সেখান থেকে সংগ্রহকৃত সুগন্ধি বোম্বাই মরিচ ঝুড়ি বোজাই করে গাড়ি বা যাত্রীবাহী ঢাকাগামী লঞ্চে করে সরবারহ করছেন রাজধানীর বড় বড় বিভিন্ন বাজারে।

উপজেলার মাহমুদকাঠির মুসলিমপাড়া এলাকার মরিচ বেপারী মো. মুনির মিয়া জানান, এখানকার বোম্বাই মরিচ পূরণ করছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বোম্বাই মরিচের চাহিদা। এছাড়াও তারা নার্সারি ক্ষেতে এবং পেয়ারা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় বোম্বাই মরিচ চাষ করে প্রতি বছরই উপার্জন করছে প্রচুর অর্থ।

বোম্বাই মরিচ চাষিদের একজন আদাবাড়ী গ্রামে যুবক রিপন হাওলাদার যিনি প্রথমে দিনমজুরের কাজ করতেন।রিপন কুড়িয়ানা বাজারের ব্যবসায়ী অমলের পরামর্শে সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ২০০৫ সালে এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন বোম্বাই মরিচ চাষ যা থেকে প্রথম বছরেই লাভ করেন প্রায় ২০ হাজার টাকা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

রিপন এখন ওই গ্রামের স্বচ্ছলদের অন্যতম একজন। প্রতি বছরই বাড়ছে তার ক্ষেতের পরিধি। এ বছর তিনি ১০ বিঘা জমিতে বোম্বাই মরিচের চাষ করেছেন।

কুড়িয়ানা-রায়েরহাট সড়কের বঙ্কুরা এলাকার রাস্তার দুই ধারে রিপনের বোম্বাই মরিচের বাগান পথচারীদের মন কাড়ে।

রিপন জানান, এক বিঘা জমিতে রোপন করা হয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার চারা। গড়ে প্রতিবিঘা জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ১৫ দিন পর পর মরিচ তুলে বাজার জাত করা হয়। মরিচ সংগ্রহ করে বাজারগুলোতে নেওয়া হয়। সেখানে তারা পাইকারি ক্রেতাদের কাছে প্রতি হাজার মরিচ বিক্রি করেন ৩০০-৪০০ টাকায়।

সেখান থেকে তারা সেগুলো ঝুড়ি বোঝাই করে মিনি ট্রাকে ঢাকার কারওয়ান বাজারে চালান করে। কারওয়ান বাজারের সিংহভাগ বোম্বাই মরিচ নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) থেকে নেওয়া হয়।

প্রতিদিন ৮-১০টি মিনি ট্রাক মরিচ নিয়ে যায় ঢাকায়। এর পাশাপাশি স্বরূপকাঠি ও বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে করেও মরিচ ঢাকায় পাঠানো হয়। মরিচের পাশাপাশি রিপন তার ক্ষেতে পুঁই শাকের চাষ করেন যা থেকেও অনেক টাকা উপার্জন করেন।

সুত্রঃ জাগো নিউজ

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন