বেনাপোলে বাড়ছে ফলজ বনজ ও ঔষধী নার্সারী-স্বালম্বি নারীরা

  31-05-2017 03:45PM

পিএনএস, বেনাপোল : সবুজ অরন্যে ঘেরা এলাকা যশোরের শার্শা-বেনাপোল। উপজেলায় বাড়ছে নার্সারী-ফলজ বনজ,ফুল ও ঔষধী গাছের চাষ। নারীরা বাসা বাড়ীতেই ফলজ বনজ ও ঔষধি চাষে সাফলতা পেয়েছেন লাভবান ও স্বালম্বি হচ্ছেন তারা। ফলে সবুজের সমারোহ ছড়িয়ে পড়ছে পরিবেশ ও সমাজে। সবুজ বানায়ন গড়ে তুলতে কাজ করছেন উপজেলা বন অধিদপ্তর-বৃক্ষরাজিতে অনুপ্রেরনা পাচ্ছেন বেনাপোলের মানুষ। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ব্যাতিক্রমী নারী উদ্যোক্তা শার্শা নাভারনের চম্পা রানী খাতুন।

সাধ সুখ স্বপ্ন ইচ্ছা ও ভালবাসা দিয়ে নিবিড় ভাবে পরিচর্যা করে নিজ বাসাবাড়ীতে সবুজ অরন্য গড়ে তুলেছেন। নার্সারিতে রুপ নিয়েছে সমগ্র বাসাবাড়ী। তিনশ টাকার পুজি নিয়ে শুরু করে তার বাসভবনে ১৭লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বনজ ও ঔষধী গাছ আছে। তার দেখে এলকায় বেড়েছে নার্সারী। নারীরা বাসা বাড়ীতেই গড়ে তুলছেন নার্সারী। ফলে মিটছে পুষ্টির চাহিদা। গড়ে উঠছে মনোরম ঠান্ডশিতল পরিবেশ। ঠান্ড কাশি হাপানি জন্ডিস,ডায়াবেটিস ঘার পাচড়া,আমাশয়,সহ বিভিন্ন রোগের ঔষধী গাছ মিলছে হাতের নাগালেই।

এলাকার অনেকেই চম্পার নার্সারী দেখে খুশি মনে ফিরছেন বাড়ীতে। উদার মনোভাবের চম্পা রানী অনেক কেই বিনামুলে সরবরাহ করছেন তার বাড়ীতে লাগানো চারা। সবুজ অরন্য গড়তে উৎসাহ যোগাচ্ছেন আগত দর্শনর্থীদের।

চম্পারানী বলেন,প্রাকৃতিক দৃষ্য ফুল ফল ও সবুজ অরন্য কারা না ভাল লাগে। ভাল লাগা থেকেই ৩শ টাকা পুজিতে বাসাবাড়ীতেই নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন-নার্সারী। আজ তার নার্সারিতে আছে দেশী বিদেশী জাতের ফুল ফল বনজ ও ঔষধি বুৃক্ষ মিলেয়ে ২শতাধিক প্রজাতির ১৭ লাখ টাকার গাছ। এমনি এক নারী শার্শার নাভারনের বৃক্সপ্রেমী গৃহবধু-চম্পা খাতুন। বৃক্ষই যেন তার সুখ শান্তি-স্বপ্ন সাধ ও ইচ্ছা। তিনি বাসাবাড়ীতেই গড়ে তুলছেন সবুজ বনায়ন। আধুনিক ধাচে করছেন বানসাই। একই গাছে কলপ বেধে ফলাচ্ছেন তিন থেকে ৪রকম ফল। তার নার্সারি আকৃষ্ট করছে পথচারি সহ স্থানীয় নারীদের। তার দেখে অনেক নারীই বাসাবাড়ীর ছাদে,উঠানে-বেলকুনিতে ও রাস্তার ধারেই ফুল ফল বনজ ও ঔষধী বৃক্ষে ভরে তুলেছেন। সখ ও পছন্দ থেকে পূরন হয়েছে সাধ ও ইচ্ছা আজ স্বালম্বি তিনি। সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।

চম্পারানীর মা আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন,পরনে সাদা কাপড় থাকলেও পছন্দ তার সবুজ-তাই সখের বসেই তারা গাছ লাগিয়ে করছেন পরিচর্যা-সময় কাটছে ভাল-অনেকের নার্সারিতে বাড়ছে আগ্রহ।

স্থানীয় শিক্ষিকা রেহেনা খাতুন ও সুমাইয়া হিমু বলেন-চম্পার নার্সারী দেখে অভিভ’তন তারা। তার দেখেই বাসা বাড়ীতে গড়ে তুলেছেন নার্সারী-লেখাপড়া শিক্ষাকতা ও সংসারের কাজের ফাঁকেই পরিচর্যা করেন গাছ। এতেই সময় কাটে ভাল-পরিবেশ ও সমাজের কাজে আসে গাছ। ্একই কথা বলেন শেফালি খাতুন ও শিক্ষার্থী সোনিয়া খাতুন-তারা বলেন প্রকৃতকে ভাল বাসলে মন থাকে ভাল। সময় কাঠে আনন্দ উৎসাহে। পরিবেশ ও সমাজে গাছের গুরুত্ব অনুধাবন করেই বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাচ্ছেন বলে জানান তারা।

স্থানীয় ব্যাবসায়ি-নাসিম রেজা পিন্টু চেয়ারম্যান সোয়ারাব হোসেন বলেন,আজ বাসাবাড়ীতে বসে থাকতেস চাইনা নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে তারা। অলস সময় না কাটিয়ে বাসাবাড়ীতে গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করেই ভাল সময় কাটান তারা। ফুল ফল ও দেশী বিদেশী বিভিন্ন ধরনের গাছ লাড়িয়েই চলছে তারা। সবুজন অরন্য গড়তে পুুরুষের চেয়ে নারীরাই যাচ্ছে এগিয়ে। হাসি খুশি মনেই দিন রাত কাটে তাদের।

সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র-শার্শা যশোর ফরেষ্ট-সহকারি অফিসারআতিয়ার রহমান বলেন, প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় সবুজ দেশ গড়তে সবুজ বনায়নের আওতায় শার্শাকে গড়তে কাজ করছেন তারা-স্ব উদ্যোগে বেনাপোল ও শার্শায় গড়ে উঠেছে কয়েশ নার্সারী। সবুজ বেষ্টনীতে গড়ে উঠছে শার্শা বেনাপোলে। ফলজ বনজ ঔষধী গাছ লাগিয়ে স্বালম্বি হচ্ছেন তারা। গাছ সমাজ ও পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা করছে-সবাইকে গাছ লাগাতে উৎসাহ যোগাচ্ছেন তারা।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন