সুন্দরগঞ্জে বর্ষালি ধানের বাম্পার ফলন

  23-07-2017 04:54PM

পিএনএস, গাইবান্ধা: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বর্ষালি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এক জমিতে ত্রিফলা হিসেবে বর্ষালি ধানের চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। বোনাস ফসল হিসেবে বর্ষালি ধান ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে কৃষকদের মাঝে। অল্প খরচে এবং বিনা পরিশ্রমে বর্ষালি ধান কেটে ঘরে তুলতে পাড়ায় খুশি কৃষকরা।

আধুনিক পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি-২৮, ৪৮,৫২ এবং পারিজা ধান বর্ষালি ফসল হিসেবে চাষাবাদ করে থাকেন কৃষকরা। ইরি বোর ধান কাটার পরপরেই ওই জমিতে বর্ষালি ধান চাষাবাদ করা হয়। ৬০ হতে ৫২ দিনের মধ্যেই বর্ষালি ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব। সে কারণেই কৃষকরা দিন দিন বর্ষালি ধান চাষাবাদে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বর্ষালি কাটার পর ফের ওই জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ৫০০ হেক্টর জমিতে বর্ষালি ধানের চাষাবাদ হয়েছে। ইতি মধ্যে অনেকেই ধান কেটে ঘরে তুলেছে। সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার কৃষক নবির হোসেন জানান, আমি দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান তোলার পর বর্ষালি ধান ব্রি-২৮ চাষাবাদ করেছি। ইতি মধ্যে এক বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছি। এক বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ১৬ মন। যার বর্তমান বাজার দর ১২ হাজার টাকা। অথচ আমার এক বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকা। এতে করে দেখা গেছে যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে বর্ষালি ধান চাষাবাদে অর্ধেক মুনাফা আসে।

উপজেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কৃষিবিদ আবু সাঈদ মোঃ ফজলে এলাহী জানান, দিন দিন কৃষকরা বর্ষালি ধান চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কারণ অল্প খরচ এবং বিনা পরিশ্রমে ভাল ফলন পাওয়া যায়। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে প্রায় দেড়শত হেক্টর বেশি জমিতে বর্ষালি ধানের চাষাবাদ হয়েছে।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন