নায্য দাম না পাওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছেন পাট চাষিরা

  09-09-2017 02:08AM

পিএনএস ডেস্ক: দাম কম হওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে সারা দেশসহ কুষ্টিয়ার চাষিরা। ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সোনালী আঁশ পাট চাষের সোনালী দিন।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের পাটচাষি আবদুল জলিল বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। বাজারজাত করাসহ সবকিছু মিলে বিঘা প্রতি ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু পাটের ফলন আর দাম দেখে আসল টাকা ঘরে উঠবে কিনা সেটাই এখন ভাবার বিষয়। শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।’

ভেড়ামারার চাঁদগ্রামের কৃষক নান্টু মোল্লা বলেন, ‘সামনের বছর আর পাট আবাদ করব না। কারণ এ চাষে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সেই তুলনায় দাম অনেকটাই কম।’

তিনি আরও বলেন, পাটের দাম মণপ্রতি কমপক্ষে ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা হলে কৃষক লাভবান হবে।

সরকারিভাবে পাটের দরের নির্ধারিত তিনটি গ্রেট রয়েছে। ১৬৩০-১৬৮০-১৭৩০ টাকা দরে কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনতে হবে। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। তারা কৃষকের কাছ থেকে ১২৫০-১৩০০ টাকা দরে পাট কিনছেন। পাটের দাম কম হওয়ায় তার কাছে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

কুষ্টিয়া জেলা পাট অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ছয় হাজার ৪৪৬ একর, মিরপুরে ২১ হাজার ৭৩৬ একর, ভেড়ামারায় ১০ হাজার ৮৬৮ একর, কুমারখালীতে ১৩ হাজার ৩৩৮ একর, খোকসায় নয় হাজার ৩৮৬ একর এবং দৌলতপুর উপজেলায় ৪১ হাজার ৯৯০ একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন