শেরপুরে বেগুন চাষে ভাগ্য বদলেছে শতাধিক চাষির

  26-10-2017 09:09PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বেগুন চাষে ভাগ্য বদলেছে শতাধিক বেগুন চাষির। অভাব মোচন করে তাদের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। নাগাল পেয়েছেন সুখের দিনের। এমনকি বেগুন চাষ করে অনেকেই শুন্য থেকে লাখপতিও হয়েছেন। তাদেরই একজন উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের চাষি মোফাজ্জল হোসেন। মাত্র দশ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষ করে ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধলাখ টাকা আয় করেছেন।

এছাড়া জমিতে যে পরিমান বেগুন রয়েছে তা বিক্রি করে আরও অর্ধলাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভব হবে আশা করছেন তিনি। গতকাল বিকেলে ওই ইউনিয়নের লক্ষীকোলার সেনপাড়া গ্রামে আয়োজিত গেটকো এগ্রো ভিশন লিমিটেড আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই সফলতার কথা জানান স্থানীয় মুরাদপুর গ্রামের মামুনুর রশিদের ছেলে বেগুন চাষি মোফাজ্জল হোসেন। এই চাষি জানান, তিনি শ্রাবণ মাসে মাত্র দশ শতক জমিতে ‘সেরা’জাতের হাইব্রিড বেগুন চাষ করেন। এতে খরচ হয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ওই জমি থেকে উৎপাদিত ১০৮মণ বেগুন প্রায় অর্ধলাখ টাকা বিক্রি করেছেন।

চাষি মোফাজ্জল হোসেন আরও বলেন, হাইব্রিট এই জাতের বেগুনের ওজন প্রাং ৩৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম। বেগুনে বীজের পরিমান কম থাকায় খেতেও খুবই সুস্বাদু। এছাড়া বেগুনের রং আকর্ষনীয় ও উজ্জ্বল থাকায় বাজারে চাহিদাও বেশি। তাই অন্যান্য জাতের চেয়ে ফলন বেশী এবং রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম থাকায় কৃষকরা এই জাতের বেগুন চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব বলে এই চাষি জানান।

একইভাবে বাঁশবাড়িয়া ও ঊঁচুলবাড়িয়া গ্রামের বেগুন চাষি আব্দুল বাকি তার দেড় বিঘা জমি থেকে ইতিমধ্যে ১লাখ ৭৫হাজার টাকা, বুলবুল আহমেদ আট শতক জমি থেকে ৫০হাজার টাকা, কাওছার আহমেদ পঁচিশ শতক জমি থেকে ৬০হাজার টাকা, আনোয়ার হোসেন এক বিঘা জমি থেকে ১লাখ ২৫হাজার টাকা, রইচ উদ্দিন এক বিঘা জমি থেকে ১লাখ ২০হাজার টাকা ও সেলিম রেজা এক বিঘা জমি থেকে ১লাখ ৪০হাজার টাকার বেগুন ইতিমধ্যে বিক্রি করেছেন। এছাড়া ওইসব জমিতে অবশিষ্ট আরও যে পরিমান বেগুন রয়েছে তা উক্ত সম পরিমান টাকা বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে এসব চাষিরা জানান।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান জানান, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানিগুলোও দেশের কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা করে নতুন নতুন উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল উৎপাদন করছেন। এরমধ্যে হাইব্রিড ‘সেরা’ জাতের বেগুন চাষ করে এই উপজেলার শতাধিক বেগুন চাষি বেশ সফলতা অর্জন করেছেন বলে এই কর্মকর্তা জানান।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন