পিএনএস, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে আলুর বাম্পার ফলন হলেও দরপতন হওয়ায় আলু চাষীরা হতাশায় ভুগছেন।
জানা গেছে, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ও গত বছর আলুর ভালো দাম পাওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা অধিক পরিমান জমিতে আলু চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও সঠিক সময়ে সার, কীটনাশক ব্যবহার করায় ও উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শ পাওয়ায় তুলনামুলক ভাবে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে বাজারে আলুর দরপতন ঘটায় চাষীরা তাদের রোপনকৃত আলুগুলো জমি থেকে উত্তোলণ করে বাজারজাত করতে না পারায় তারা লোকসানের মুখ পড়েছে।
এছাড়া ৯০ কেজির প্রতি বস্তা আলু সাড়ে ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা দরে বিক্রি হলেও ক্রেতা সংকটের কারণে আলুগুলো বস্তাবন্দি করে কৃষকরা ক্ষেতেই ফেলে রাখছেন। এতে করে আলুগুলো বস্তার ভিতরে পচন ধরেছে। কৃষকরা মহাজন ও এনজিওর নিকট থেকে আগাম ঋণ নিয়ে আলু চাষ করে বাজারে দর না থাকায় তা পরিশোধ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন।
এ নিয়ে কথা হয় রামডাকুয়া গ্রামের আলু চাষী সাজেদুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, আলুর বাজারে যে দরপতন দেখা দিয়েছে তাতে করে আমার ৩০ বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচের অর্ধেকই উঠছে না। আমি আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছি। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর এ উপজেলায় ৭৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় চরাঞ্চলে বেশি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ রাশেদুল ইসলাম জানান, আলুর বাম্পার ফলন হলেও বাজারে দরপতন ঘটায় চাষীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। তবে আলুগুলো সংরক্ষণ করতে পারলে হয়তো চাষীরা পুষে নিতে পারবেন।
পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল
সুন্দরগঞ্জে চরাঞ্চলে আলুর বাম্পার ফলন, দাম না থাকায় চাষীরা হতাশ
02-04-2018 06:20PM