রাণীনগরে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

  25-04-2018 12:39PM


পিএনএস, রাজশাহী: দেশের উত্তর জনপদের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ব্যাপক ধান চাষের পাশাপাশি চলতি খড়িপ ও রবি মৌসুমে অন্যান্য কৃষি ফসলের পাশাপাশি ‘সাদা সোনা’ খ্যাত বাদাম চাষ করেছে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা। বাদাম চাষের অনুকূল আবহাওয়া থাকায় চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় চাষিরা এই ফসল চাষের দিকে ঝুকে পড়েছে। চলতি খড়িপ ও রবি শস্য মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের পাশাপাশি বাদাম গাছ সবুজের ডানা মেলেছে। কৃষকরা আশা করছেন ভাল বাজার দর পেলে তাদের মুখে ফুটবে কাক্ষিত হাসির ঝিলিক। জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে রাণীনগর উপজেলায় এবছর বাদাম চাষে প্রায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি খড়িপ ও রবি শস্য মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। বিগত বছরে বাদামের ভাল ফলন ও দাম আশানুরুপ পাওয়ায় এলাকার চাষিরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাদাম চাষে মনোযোগ দিয়েছে। গত কয়েক বছর চাষিদের উৎপাদিত কৃষিজাত ফসলে লোকসান হওয়ার কারণে চাষিরা স্বল্প পরিমাণে হলেও বাদামের চাষ করছে এলাকার কৃষকরা। ফলন ও দাম ভাল পেলে চাষিদের আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ দেখা দিলে অন্যান্য ফসলের যেমন ক্ষতি হয় বাদামের তেমন একটা ক্ষতি হয় না। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় আড়াই মেট্রিকটন পর্যন্ত বাদাম উৎপাদন হয়। আমন ধান চাষের পরেই এলাকায় কৃষি ফসলের পাশাপাশি ‘সাদা সোনা’ খ্যাত বাদাম চাষ করেন চাষিরা।

উপজেলার ৩নং গোনা ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বাদাম চাষি মো: মনছের আলী জানান, আমি বর্গা জমিতে বোরো ধানের চাষ করতাম। কিন্তু ধানের জমি কিছুটা কমিয়ে বাদাম চাষের দিকে মনোযোগ দিয়েছি। এবছর আমি এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত রোগবালাই মুক্ত থাকায় আশা করছি বাম্পার ফলন হবে। উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের করজগ্রামের আমজাদ হোসেন টিয়া জানান, আমি ৫কাটা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। রোগবালাই মুক্ত থাকায় আশা করছি ফলন ভাল হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, মাঠ পর্যায়ে চাষিদের বাদাম চাষের আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে চলতি খড়িপ ও রবি মৌসুমে চাষিদের রোগ প্রতিরোধ সর্ম্পকে কৃষকদের গঠন মূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই ফসলে এমনিতেই তেমন কোন রোগ-বালাই আক্রান্ত হয় না। দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা দিনদিন বাদাম চাষের দিকে মনোযোগী হচ্ছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন