বাকৃবি’র গবেষকরা বীজ রেডিয়েশনের মাধ্যমে গমের ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনের সম্ভাবনা

  18-02-2019 09:27PM

পিএনএস, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) গবেষকরা বীজ রেডিয়েশনের মাধ্যমে গমের ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনে সম্ভাবনার আশার আলো দেখছেন। গবেষণা কর্মটি সফল হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে গমের ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ বাহাদুর মিঞা।

গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মোঃ বাহাদুর মিঞা এ সময় বলেন, আমরা গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে কয়েক ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি এবং তা পর্যবেক্ষণের কাজ চলছে। এর মধ্যে রেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগ করে আশানুরূপ ফল পেয়েছি। বীজ রেডিয়েশন প্রয়োগকৃত গাছগুলোতে ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করেনি। আমরা গবেষণাগারে আরও পর্যবেক্ষণ করে আগামী দুই এক বছরের মধ্যে ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হবো বলে আশা করি। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন পাশাপাশি দেশের খাদ্য উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। এই জাত ভালভাবে ব্যবহার করলে আমাদেরকে আর বিদেশ থেকে গম আমদানি করতে হবে না।

তিনি এরা বলেন,গমের ব্লাস্ট একটি নতুন ছত্রাকজনিত মারাত্মক রোগ। ব্লাস্ট রোগের জীবাণু বীজ বাহিত যা বাতাস ও বৃষ্টির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগের প্রাদুর্ভাবে গমের দানা শুকিয়ে যায় এবং গমের শীষে দানা থাকে না।দেশে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে প্রায় প্রতি বছরই লাখ লাখ হেক্টরের গম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই রোগ দমনে গত ৩ বছর ধরে গবেষণা করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) গবেষকরা। গবেষণায় বীজ রেডিয়েশনের মাধ্যমে গমের ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনে সম্ভাবনার বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে গমের ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, বাকৃবি ও বিনা যৌথভাবে গবেষণাটি করছে। বিনার উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ আবুল কাসেম ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন ছাড়াও গবেষণা প্রকল্পে দুই জন পিএইচডি ও দশজন এমএস শিক্ষার্থী এতে গবেষণারত রয়েছেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন