নবাবগঞ্জে সেই বেগুনি রংয়ের ধানের ফলন হয়েছে বিঘা প্রতি ২৬ মন

  22-05-2019 03:44PM

পিএনএস, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাটের পশ্চিম পার্শ্বে বিরামপুর-ঘোড়াঘাট পাকা সড়কের উত্তর ধারে নজর কাড়া বেগুনি রংয়ের যে ধান ক্ষেতটি চাষ করা হয়েছিল তা কাটা হয়েছে।ওই ধানটির ফলন হয়েছে বিঘা প্রতি প্রায় ২৬ মন।

উপজেলা কৃষি অফিসার আবুরেজা মোঃ আসাদুজ্জামান ও কৃষক আঃ হাকিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ধানটি বাজারে নেয়ায় পর এর মূল্য এবং চাহিদা কেমন হবে তা জানা যাবে। উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের দঃ জয়দেবপুর গ্রামের আঃ হামিদের ছেলে কৃষক আঃ হাকিম ওই বেগুনি রংয়ের ধান চলতি বোরো মৌসুমে চাষ করেছিল। হাকিম জানায় গত মৌসুমে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের দুলালী বেগমের ওই ধান চাষ করার সংবাদ সে জানতে পরে।জানার পর তার কৌতুহল জাগে ওই ধান চাষ করার। এরপর সে সেখান থেকে ১৫০০ টাকায় ১ কেজি বীজ ধান ক্রয় করে নিয়ে এসে তার চারা তৈরী করে। চারা তৈরীর পর গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২ তারিখে পরিক্ষামূলক ভাবে জমিতে চারা রোপন করে। এ ধান চাষে তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক পরামর্শ প্রদান সহ তদারকি করা হয়। সড়কের ধারে ধান ক্ষেতটি হওয়ায় এবং রং বেগুনি দেখে ওই পথে যাতায়াত কারীদের ক্ষেতটি নজর কেড়েছিল। ক্ষেতটির গোছাগুলি উফশী জাতের মত এবং গোছার রং বেগুনি হলেও ধানের রং হয়েছে উফশির মত এবং ধানের গায়ে ফোটা ফোটা দাগ রয়েছে। চাল সুগন্ধিযুক্ত সাদা রংয়ের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুরেজা মোঃ আসাদুজ্জামান এটি সুন্দরগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে এর সুন্দরী নাম দিয়েছেন।কৃষক আঃ হাকিম জানান তিনি ওই ধানটি পুনরায় চাষ করবেন এবং ধানটি বিস্তার ঘটানোর জন্য তার ফলিত ধানগুলি শুধু বীজ হিসাবেই বিক্রি করবেন। এখন ওই ধান চাষের কি রকম বিস্তার ঘটবে তা জানতে আগামী মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

অপরদিকে একটি রিপোর্টে রাশেদুল ইসলাম নামে একজন কৃষি কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন ধানটিকে চিনে নিষিদ্ধ ধান বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন চীনের রাজ পরিবারের মধ্যেই কেবল এ ধানের ব্যবহার সিমাবদ্ধ ছিল। এ ধানের ভাত খেলে দীর্ঘজীবি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাওয়া যায় বলে চীনারা বিশ্বাস করত। তাই রাজ পরিবারের বাইরে এধান নিষিদ্ধ ছিল এবং নিষেধ অমান্য করলে সাজা ছিল মৃত্যু দন্ড। তার ভাষায় আধুনিক গবেষনায় দেখা গেছে অতিরিক্ত মাত্রায় এস্থোসায়ামিন ও এন্টি অক্সিডেন্টের কারনে এ ধানের রং বেগুনি হয়। এ ধানে প্রচুর ফাইবার ও ভিটামিন ই থাকায় নিয়মিত এ ধানের ভাত খেলে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এ ধান ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর ডায়াবেটিস ও আলকেইমার রোগেরও বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন