লটারিতে যেভাবে ভাগ্য খুললো ২০ হাজার কৃষকের!

  07-12-2019 06:11PM

পিএনএস ডেস্ক : সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে লটারিতে ধান বিক্রির সুযোগ পেলেন ঠাকুরগাঁওয়ের ২০ হাজার ৭৪ জন কৃষক। আর ধান বিক্রির সুযোগ বঞ্চিত হয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ১০জন কৃষক। এতে সুযোগ বঞ্চিতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলায় লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। জেলার ১৩টি সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ২৬ টাকা দরে প্রতি কেজি ধান বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন ভাগ্যবান কৃষক। এতে লাভবান হবেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাট-বাজারে প্রতি কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ১৬টাকা কেজি দরে।

কৃষি বিভাগ জানায়, বৈরি আবহাওয়া থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলন হয়েছে আমন ধানের। জেলায় এবার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। আর এই পরিমাণ জমি থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আফতাব হোসেন বলেন, খাদ্য বিভাগ ধান সংগ্রহ করছে উৎপাদনের তুলনায় যৎ সামান্য। এতে বেশিরভাগ কৃষক এলএসডিতে ধান বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন না।

সদর উপজেলার নারগুন গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে সব কৃষকের ফসল বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করলে কৃষিতে আরও উন্নতি ঘটবে। এতে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

শনিবার ধান সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাদেক কুরাইশী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকে।

চলতি আমন মৌসুমে এ জেলা থেকে ১৬ হাজার ২০২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে জানায় খাদ্য বিভাগ। কৃষি বিভাগ জেলায় ২ লাখ ৬১ হাজার ১০ জন কৃষকের তালিকা করেছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন