পিএনএস, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : পান খেতে চুন আবশ্যক। সেটা পান দোকানে হোক আর বিয়ে বাড়ীতে হোক কিংবা নিজ বাড়ীতেই হোক না কেন। চুন ছাড়া যেন পানের মজাই নাই । যারা পান খেতে অভ্যস্ত তারাই বোঝেন চুনের কি মজা। শুধু পান খেতে নয় যারা আলাপাতা(তামাকপাতা) খান তারাও চুন ব্যবহার করে থাকেন।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অনেক মাছ চাষীই পুকুরে চুনের ব্যবহার করে থাকছে। সেই চুন তৈরী করে থাকেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হাতে গোনা কয়েকজন। এর মধ্যে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রামের মৃত কুরু মালীর ছেলে প্রদীপ মালী একজন। তার বাড়ীতে চুন তৈরীর কাজ দেখতে গেলে জানান চুলা বা কুনেতে আগুন দিয়ে ঝিনুক পুড়ে সেটিকে বেছে বের করে নিতে হয়। এরপর চাড়িতে ফেলে ঝিনুকের সাথে পানি মিশিয়ে ঘাটতে হয়। পুরোপুরি চুন হতে ৩/৪ ঘন্টা সময় লাগে। চুন তৈরীর সময় চুনের কালচে রং দূর করতে এসিড ব্যবহার করা হয়। তার ভাষায় আগের মত আর চুন তৈরীতে সুবিধা নাই। আগে ঝিনুক ও খড়ি পাওয়া যেত সুলভে। আর এখন সব কিনতে হয়। তারা সেখানে ৩/৪ জন চুন তৈরীর করে থাকেন। প্রদীপেরই ভাই তারা মালী বাস করেন মালারপাড়া গুচ্ছ গ্রামে। তিনিও একই ব্যবসা করেন। তিনি জানালেন চুনের ব্যবসায় আর তেমন লাভ নাই। সব মালামাল কেনার পর চুন তৈরী করে তা গ্রামে গ্রামে ও হাট বাজারে কাঁধে ভার বহন করে বিক্রি করে শেষে তেমন লাভ থাকে না। তার ভাষায় বাপ দাদার রেখে যাওয়া ব্যবসা ধরে রেখেছেন মাত্র। সেখানে তারা এ ব্যবসায় রয়েছেন দুই জন।
এছাড়াও উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের দয়াময়ী মন্ডপের নিকট এ ব্যবসায় জড়িত আছেন তারই নিকট আত্মীয় ২ জন। এই কয়জন ছাড়া নবাবগঞ্জ উপজেলা এলাকায় চুন তৈরীর ব্যবসার সাথে আর কেউ নাই বলেও তিনি জানান।
পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল
লোকসানে চুন ব্যবসায়ীরা
11-01-2020 06:52PM