কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ঢাকা আসবে বিনা মাশুলে

  09-05-2020 09:07PM

পিএনএস ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সারা দেশে লকডাউন চলছে। এখন প্রন্তিক কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় পাইকারি বাজারে বিনা মাশুলে পৌঁছে দিতে ‘কৃষক বন্ধু ডাক সেবা’ চালু করেছে ডাক অধিদপ্তর। প্রাথমিকভাবে মানিকগঞ্জ জেলার কৃষকদের উৎপাদিত শাকসবজি বিনা মাশুলে পরিবহনের মধ্য দিয়ে সেবাটি চালু করা হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ঢাকায় বেইলি রোডে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আজ শনিবার মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজার থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবার উদ্বোধন করেন।

এই সেবার আওতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কৃষক ঘরে বসেই তার বিক্রয়লব্ধ পণ্যের টাকা পেয়ে যাবেন। এর ফলে কোন মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন। দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে ব্যবহৃত রাজধানীমুখী ডাক অধিদপ্তরের গাড়ীগুলো কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হবে। এতে সরকারের অতিরিক্ত কোনো খরচেরও প্রয়োজন হবে না। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই সেবা চালু করা হবে বলে জানান মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ঝিটকা বাজার থেকে ফ্রি সার্ভিসের আওতায় প্রথম দিন ১২০০ কেজি পেঁয়াজ, ৬০ কেজি কাঁচা মরিচ, ৮০ কেজি বেগুন, ৬০ কেজি করলা, ৬০ কেজি চিচিংগা, ৬০ কেজি ঝিংগা, ৬০ কেজি ঢেঁড়স, ১২০ কেজি শসা এবং ১৮০টি মিষ্টি কুমড়া নিয়ে কৃষক বন্ধু ডাক সেবার গাড়ি ঢাকায় আসে। এই সব কৃষিপণ্য গাবতলী কৃষিবাজার এবং মিনাবাজার ধানমন্ডিতে পৌঁছে দেওয়া হবে। মিনাবাজার, চালডাল এবং পার্কিং বাজার কৃষকদের এই সব পণ্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরাসরি কিনে নিচ্ছে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে ঝিটকা বাজার প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের পরিচালক এসএম হারুনুর রশিদ, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জহিরুল হকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উৎপাদনকারী কৃষক প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র এই সময় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত ছিলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের কৃষি উৎপাদনকে সচল ও সজীব রাখতে, কৃষি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশে যাতে খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য কৃষিখাতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। ডাক বিভাগও সেই উদ্যোগে ভূমিকা রাখতে চাই।

তিনি বলেন, লকডাউনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে তারা সবচেয়ে বেশী বিপন্ন অবস্থায় আছে। কৃষক পণ্য উৎপাদন করছে, কিন্তু এই পণ্য বাজারজাত করতে পারছেন না। শাকসবজি পচনশীল পণ্য দীর্ঘ দিন ধরেও রাখা যায় না। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের বিদ্যমান সংকটে বিনা মাশুলে রাজধানী ঢাকায় পণ্য পৌঁছে দিয়ে তাদের পাশে থাকার।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন