পড়াশোনার পাশাপাশি ড্রাগন চাষে স্বাবলম্বী তরুণ শিক্ষার্থী!

  12-07-2020 03:34PM

পিএনএস ডেস্ক: পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সুস্বাদু বিদেশি ফল ড্রাগন। সঠিক পরিচর্যা পেলে দেশের মাটিতেও এর ব্যাপক চাষ সম্ভব। শুধু চাষই নয়, রয়েছে এর প্রচুর বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও। তারই অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নওগাঁর রাণীনগরের কালিগ্রাম ইউপির রণজনিয়া গ্রামের তরুণ নাজমুল হক নাইস।

পরিশ্রমী এ তরুণ প্রমাণ করেছেন পড়াশোনার পাশাপাশি ড্রাগন চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।

এরইমধ্যে নাজমুল হক নাইসকে অনুসরণ করে রাণীনগরে দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রাগন ফলের বাগান। বাড়ছে বাগানের পরিসরও। ফলে লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ড্রাগন ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখন যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

নাজমুল হক নাইস বলেন, লেখা-পড়ার পাশাপাশি ২০১৬ সালে রণজনিয়া গ্রামে আমার নিজস্ব ১০ কাটা জমিতে শুরু করি বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ। এরপর বর্তমানে নিজস্ব ৯ বিঘা জমিতে বাগান তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করছি। আমার বাগানে লাল, গোলাপী এবং সাদাসহ তিন জাতের ড্রাগন ফল রয়েছে। এ ফল চাষে ওষুধের ব্যবহার কম এবং খরচ কম হওয়ায় এমন উদ্যোগ নিয়েছি আমি। আমার বাগানে ৩-৪ জন যুবক বাগান পরিচর্যা করেন। গ্রীস্মকালীন ফল ড্রাগন। বছরের আট মাস ধরে ফল পাওয়া যায়। গাছে ফুল আসার ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর পর ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। এটি একটি অধিক লাভজনক ফল।

তিনি আরো বলেন, ড্রাগন ফল ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে বাজারে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। লেখা-পড়ার পাশাপাশি ড্রাগন ফল চাষ করে ভাগ্য বদলেছে আমার। আমার বাগানের নাম রাখা হয়েছে ড্রাগন ফ্রুটস্ গার্ডেন। সেখান থেকে নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ফল পাইকারি দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ড্রাগন অধিক লাভজনক একটি ফল। খরচ কম অর্ধিক লাভ। রণজনিয়া গ্রামের তরুণ নাজমুল হক নাইস ভালো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। তার নিজস্ব জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করছেন। এছাড়া উপজেলা জুড়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের ছোট-বড় বাগান গড়ে উঠেছে। আমরা বাগানগুলোর সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। কৃষি অফিস থেকে তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতাসহ করে আসছি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন