কপিলমুনি হলুদের রয়েছে সুখ্যাতি

  24-11-2020 05:37PM

পিএনএস, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি হলুদের যথেষ্ট সুনাম সুখ্যাতি রয়েছে। এলাকা ছাড়িয়ে দেশের অন্যত্রসহ বিদেশেও এ অঞ্চলের হলুৃদের সুখ্যাতি রেেয়ছে। হলুদের মানও ভালো। গুড়া বা পাওডার হলুদ বাঙালী রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করে। এর প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিকূলতা কাটিয়ে উপজেলায় চলতি বছরও হলুদের আবাদ ভালো হয়েছে। কৃষকরা এখন বস্ত সময় পার করছে হলুদ ক্ষেত পরিচর্যায়।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২০হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হয়েছে। উপজেলাঢ ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়–লীতে হলুদ চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঁঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জমিতে হলুদের বীজ রোপণ করা হয়। হলুদ চাষের জন্য উঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জায়গায় হলুদ চাষ ভাল হয়। বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত হলুদের বীজ রোপণ করা হয়। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ওল ও আলুর বীজ রোপণ করা যায়। উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর, মেলেকপুরাইকাটী, তোকিয়া, গোপালপুর, মঠবাটী ও গদাইপুর, কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামে হলুদের আবাদ হয়। হলুদ চাষ করার জন্য জমি উত্তমরূপে চাষ করতে হয়। এরপর মাটি সমান করে দু’পাশের মাটি উঁচু করতে হয়। এই উঁঁচু মাটির মধ্যে হলুদের বীজ রোপণ করা হয়। উঁঁচু মাটির পাশে হালকা নালার মতো তৈরি করতে হয়। বৃষ্টি হলে ওই নালা দিয়ে পানি বের হয়ে যায়। এতে হলুদের বীজ নষ্ট হয় না। ঐসব ইউনিয়নের কয়েকজন চাষী জানান, প্রায় প্রতিবছর হলুদ চাষ করেন। এ বছরও হলুদের বীজ রোপণ করেছেন। হলুদ চাষের জন্য এ বছরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারনে পানি জমে থাকায় হলুদের ক্ষেত তৈরি করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে নানা রকম পরিচর্যার পরে হলুদের আবাদ ভালো হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, হলুদ একটি লাভ জনক ফসল। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওল ও আলুর বীজ রোপণ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। হলুদ চাষিদের কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রভাবে হলুদের আবাদে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হলুদের আবাদ ভাল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন