মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পেঁপে চাষের কদর বাড়ছে

  03-06-2021 01:55PM

পিএনএস ডেস্ক: পুষ্টিকর সবজি ও মিষ্টি সুস্বাদু ফল হওয়ায় প্রতিটি এলাকাতেই দিনদিন পেঁপে চাষের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় উপজেলার প্রতিটি এলাকাতেই এখন দিগন্ত জোড়া পেঁপে গাছের সবুজ সমারোহ শোভা পাচ্ছে।

তেমনি মানিকগঞ্জের সিংগাইরেও পেঁপে চাষের কদর বেড়েছে। এখানকার উৎপাদিত পেঁপে জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রফতানি করা হয়ে থাকে। পেঁপে চাষ করে হাজারো পরিবার হয়েছে স্বাবলম্বী।

সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি পেঁপে গাছেই থোকা থোকা পেঁপে শোভা পাচ্ছে। চাষিরা গাছ থেকে পেঁপে তুলে এনে তা বাজারজাত করছেন।

সিংগাইর উপজেলার চর নয়াডেঙ্গী গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এ বছর আমি ছয় বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। এতে কীটনাশক, শ্রমিক খরচসহ মোট খরচ হয়েছে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত এক লাখ সত্তর হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করেছি।

আজ মণ প্রতি ১২শ টাকা দরে ৭৫ মণ পেঁপে ঢাকার কাওরান বাজারে পাঠানো হবে। যার বিক্রয় মূল্য আসবে ৯০ হাজার টাকা। গত বছর এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা লাভ হয়েছিলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে রক্ষা পেলে এ বছর ১০ লাখ টাকা লাভ হবে।

পেঁপের ভ্যারাইটি সম্পর্কে কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, তিনি হাইব্রিড জাতীয় ‘রেডলেডি’পেঁপে বেশি লাগিয়েছেন। এটি গোল আকারের পেঁপে। এছাড়া আকারে বড় এবং সুস্বাদু জাতের শাহী ইন্ডিয়ান পেঁপে তার জমিতে রয়েছে।

জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে পেঁপের আবাদ করেছেন। সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য সবজি ফসলও ছিল। জমি তৈরি, পেঁপের চারা, শ্রমিক খরচসহ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। খরচের টাকা উঠে গেছে। সবমিলে ৩ লাখ টাকা লাভ হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরো জানান, পেঁপে পরিপক্ব হলে গাছ থেকে ছেঁড়ার পর ক্ষেত থেকেই গাড়ীতে করে পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিয়ে যায়।

সিংগাইর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রনজিৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, এ মৌসুমে সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৬৩২ হেক্টর জমিতে পেঁপের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে এবার আবাদের পরিমাণ ৩১৮ হেক্টর বেশি। ২৮ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন পেঁপে উৎপাদন হবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে সিংগাইর উপজেলা হচ্ছে সবচেয়ে উঁচু এলাকা। উঁচু জমি পেঁপে চাষের জন্য বেশি উপযোগী। কারণ জমিতে পানি জমে গেলে পেঁপে গাছ মরে যায়। এ অঞ্চলে স্বাভাবিক বর্ষায় জমিতে পানি উঠে না। সিংগাইরের মাটি ও পরিবেশ পেঁপে চাষের জন্য বেশ উপযোগী। পেঁপে চাষের জন্য চাষিদের আগ্রহ বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন