শিক্ষা কর্মকর্তা হিরার বাগান, পাল্টে দিয়েছে গ্রামের চিত্র

  22-07-2016 07:01AM



পিএনএস: আমের বাগান ও ঔষধিগাছসহ নানা জাতের গাছ রোপণ করে সফল হয়েছেন। সেই সঙ্গে পাল্টে গেছে তার গ্রামের চিত্র। শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হান ইসলাম হিরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মলানি গ্রামে তার বাসা। প্রকৃতির প্রতি প্রাণের টান না থাকলে একজন শিক্ষা অফিসারের পক্ষে এমন বাগান সৃষ্টি করা সম্ভব না। বর্তমানে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন ওই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

১৯৯৭ সালে বাগানটির যাত্রা শুরু করেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। ১০ বিঘা এলাকাজুড়ে আম বাগানটিতে আরো রয়েছে কয়েক শ’ প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধিগাছ। বাগানের ভেতরে রয়েছে কয়েকটি পুকুর। সেখানে দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ চাষ করা হয়। এ ছাড়া সেখানে ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল পালন করা হয়। এ ছাড়াও সেখানে বিদেশি জাতির আরো অনেক গরু পালন করা হয়।

১৯৯৩ সালে রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক পাস করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালে তৎকালীন সরকার (বর্তমান সরকার) সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সপ্তাহে দুই (২) দিন ছুটি ঘোষণা করেন। তার কারণ এই, যে সকল সরকারি চাকরিজীবী আছেন তারা যাতে করে সামাজিক ও পারিবারিক কাজে লিপ্ত হতে পারেন। আমি সেই থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে চাকরি জীবনের পাশাপাশি এই বাগানটি করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাগানের ভেতরে অনেক কিছুই আছে তার মধ্যে মূলত আমি আমবাগান থেকেই বেশি লাভবান। আমবাগানে অনেক উন্নত প্রজাতির সুস্বাদু আমের গাছ আছে যেগুলোতে ভালো ফলন হয়। আমি প্রতি বছর আমার বাগান থেকে কয়েক লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারি। এই বাগানে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।’

শিক্ষা কর্মকর্তা হিরো বলেন, ‘যদি সমাজের সকল স্তরের চাকরিজীবী মানুষ তার নিজ পেশার পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ করে তাহলে দেশের উন্নয়ন খুব দ্রুত গতিতে হবে। খাদ্যের যোগানের পাশাপাশি দেশ সমৃদ্ধি হিসেবে গড়ে উঠবে।’

প্রতিবেশী মকবুল জানান, হিরা ভাইয়ের এ উদ্যোগ দেখে গ্রামের মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়েছে। অনেকেই তাদের সাধ্যমতো আমের বাগান আবার কেউ পশুপাখি পালন করছে। এতে করে তাদের আশপাশের মানুষ উদ্যোগী হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে গ্রামের বেকারত্ব ও অভাব দূর হচ্ছে।’

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, আমরা পেপার পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি মলানি গ্রামে এমন বাগান তৈরি করেছেন হিরা নামে এক ব্যক্তি। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এর পাশাপাশি আমাদের কাছ থেকে যদি ওই বাগান মালিকের কোনো সহযোগিতা বা পরামর্শের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’


পিএনএস/বাকীবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন