রমজানের আগেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বেপরোয়া

  21-05-2017 06:20PM

পিএনএস (মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান) : চাল-ডাল, লবণ-তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে হু হু করে বাড়ছে। রমজানকে সামনে রেখে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবছরের মতো পণ্যমূল্য বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে যেন। অবাধে তারা এসব করে পার পেয়ে যাচ্ছে।

মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা, ডাল ১২০ টাকা, লবণ ৪২ টাকা, তেল ৯৫ টাকা। নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে গিয়ে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যে দিশেহারা। রোজার আগেই পণ্যমূল্যের এই অবস্থা হওয়ায় রোজায় তা কতটা সীমা ছাড়াবে, সে আশঙ্কা করছেন ক্রেতা সাধারণ।

বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী ভাব বিরাজ করায় টিসিবি বাজারে কিছু পণ্য বিক্রি করছে। সে পণ্যের দাম দেখে মনে হচ্ছে টিসিবি ব্যবসা করছে। টিসিবি যে ডাল ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছে, সেটি খোলাবাজারেও নাকি একই দাম। খোলা বাজারের চেয়ে টিসিবির দাম কম হওয়াই উচিত।

ইতিপূর্বে বাজারে বয়লার বিক্রি হতো ১৪০ টাকা কেজি, যা এখন ১৭০ টাকা। গরুর গোশত কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। তরিতরকারির মূল্যও আকাশ-ছোঁয়া। বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষ চোখে সরষে ফুল দেখছেন। বাজারে গিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়ছেন। কেউ কেউ বাজার না করেই বাড়ি ফিরছেন।

চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি। এক কোয়া রসুনের কেজি ৩০০ টাকা। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সহনীয় রাখার উদ্যোগ ভাটা পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। দায় থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এতটা বেপরোয়া হতে পারত না।

সময়ের কাজ সময়ে না করায় এবং অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে জব্দ না করায় সাধারণ মানুষকে এর চরম মাসুল দিতে হয়। আসন্ন রমজানে সে মাসুল ষোলোআনা দিতে হবে। সাধারণ মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাবেই ক্রেতা সাধারণের পকেট কাটার সুযোগ পাচ্ছে সিন্ডিকেট।

অতীতেও দেখা গেছে, একটি মহল এই সুযোগ নেয়। বর্তমানেও সেটা নিচ্ছে মহলবিশেষ। রোজাদারদের স্বার্থে যাদের নিরাবরণ করা অতীব জরুরি। সে জরুরি কাজটা করার মতো সুহৃদ খুঁজে পাচ্ছেন না অসহায় ক্রেতাসাধারণ। বাজারে কোনো কিছুর অভাব নেই, অথচ দাম চড়া।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখা যায়, রমজানে পণ্যমূল্য কমিয়ে রাখা হয়। ব্যতিক্রম শুধু আমাদের দেশ, যেখানে উল্টো চিত্র। অথচ এখানে ৮০ ভাগের উপরে মুসলমানের বাস। হায় রে মুসলমান! রমজানে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সংযোমের অন্যতম কাজটায় সবার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা জরুরি।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন
ই-মেইল : [email protected]

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন