`কাতার থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হলে গ্যাস সঙ্কট থাকবে না’

  28-08-2017 01:40AM

পিএনএস ডেস্ক: কাতার থেকে ২০১৮ সালে এলএনজি আমদানি শুরু হলে দেশে গ্যাসের কোন সঙ্কট থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘কাতার বিশ্বের মধ্যে বৃহৎ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ। কাতার বিভিন্ন দেশে প্রায় ১০০ মিলিয়ন টন এলএনজি রপ্তানি করে থাকে। ২০১৮ সালের মধ্যে এলএনজি টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হবে, তখন এলএনজি আমদানি শুরু হলে বাংলাদেশের কল-কারখায় গ্যাসের সমস্যা থাকবে না।’

রবিবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত আহমেদ মোহাম্মদ আল-দিহিমীর সঙ্গে মতবিনিময়শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। খবর বাসসের।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে গ্যাসের চাহিদা মিটানোর জন্য কুয়েত থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। আমদানি শুরু হলে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ দেশের কল-কারখানায় প্রয়োজনীয় গ্যাস সংযোগ নেওয়া সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, কাতারে কয়েক লাখ বাংলাদেশী কাজ করছে। সেখানে আরো জনশক্তি রফতানির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের শাক সবজিসহ বেশ কিছু পণ্য রপ্তানি হয়। গত বছর বাংলাদেশ কাতারে ২৬ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়, একই সময় সেখানে ১৫২ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাতারে বাংলাদেশের শাক-সবজির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে চাহিদা মোতাবেক এ গুলো রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। রফতানির আগে শাক-সবজি প্রক্রিয়াকরনের পর্যাপ্ত প্লান্ট বাংলাদেশে নেই। এখাতে কাতার বিনিয়োগ করলে রফতানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কাতারের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

তিনি জানান,কাতারে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে ঔষধ,পাট ও পাটজাত পণ্য,আইটি প্রোডাক্ট, হিমায়িত মাছ, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক ও প্লাস্টিক পণ্য রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে কাতারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন