তৃতীয়বারের মতো সিআইপি হলেন আহসান খান চৌধুরী

  13-08-2018 01:58AM

পিএনএস ডেস্ক: দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীকে তৃতীয়বারের মতো ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-শিল্প) নির্বাচিত করেছে সরকার। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই মর্যাদা দেয়া হলো।

গত ৭ আগস্ট ‘সিআইপি (শিল্প) নির্বাচন নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জন্য দেশের ৫৬ ব্যক্তিকে সিআইপি হিসেবে মনোনীত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিল্প মন্ত্রণালয়। এই সিআইপিরা এক বছরের জন্য পরিচয়পত্র পাবেন, যা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন।

‘সিআইপি (শিল্প) নির্বাচন নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জন্য পাঁচ ক্যাটাগরিতে এই ৫৬ জন ব্যবসায়ীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইপিদের হাতে কার্ড তুলে দেয়া হবে বলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সরকারের গেজেট অনুযায়ী, ২০১৬ সালে মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) খাতে ‘সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিত হয়েছেন আহসান খান চৌধুরী। তিনি আরএফএল প্লাস্টিকস্ লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে সিআইপি হয়েছেন। এ নিয়ে তৃতীয়বার সিআইপি হলেন তিনি।

এর আগে ২০১৫ সালের জন্য ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-শিল্প) তাকে মনোনীত করে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে ২০১৪ সালে সিআইপি (রফতানি) কার্ড পান তিনি।

সিআইপি নীতিমালা অনুযায়ী, কার্ড পাওয়ার পর থেকে এক বছরের জন্য সিআইপিরা ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের অগ্রাধিকার পাবেন। সহজে ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা এবং সচিবালয়ে প্রবেশের পাস পাবেন তারা। এ ছাড়া সরকার শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কোনো কমিটিতে সিআইপিদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। এ ছাড়া বিদেশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠকের সুযোগ পাবেন সরকারি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে।

আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর ছেলে। ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পড়াশোনা শেষ করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে যোগদান করেন তিনি। ৪৭ বছর বয়সী আহসান খান ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই গ্রুপের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী। ২০১৫ সালের ৮ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন