নিত্যপণ্যের মূল্য লাগামহীন, বিক্রেতার বেঁধে দেওয়া দামই শেষ কথা!

  07-01-2020 05:47PM

পিএনএস (মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান) : নিত্যপণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সঠিক নজরদারি ও জবাবদিহিতার অভাবে বাজার মূল্য লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে। আকাশ-ছোঁয়া মূল্য ক্রেতা সাধারণকে বিপাকে ফেলছে।

পিঁয়াজের মূল্য আবার বেড়েছে। এক কেজি পিঁয়াজ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝখানে দাম কিছুটা কমলেও বর্তমানে এটি আগের অবস্থান ছুঁইছে প্রায়। মওজুদ থাকার পরও পর্যাপ্ত পিঁয়াজ আমদানির করেও সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি। বাজারে এর নজির সবার সামনে।

কোথাও কোনো পণ্যের বিন্দুমাত্র ঘটিতি নেই, অথচ মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে! নতুন পিঁয়াজ বাজারে এসেছে। আমদানি করা পিঁয়াজেও বাজার সয়লাব। কিন্তু বাজারে এর প্রভাব নেই। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকা হচ্ছে আর নিরুপায় ক্রেতারা বিক্রেতার বেঁধে দেওয়া দামেই তা কিনছেন।

পিঁয়াজের পাশাপাশি বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। খুচরা পর্যায়ে লিটারে বেড়েছে ১৫ টাকা। আরো বাড়ার আশঙ্কা খোদ বিক্রেতাদের। বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চিনির দামও। এলপিজি গ্যাসের বাড়তি দামও গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে।

ভরা মৌসুমে বাজারে শাক-সবজির দাম নেওয়া হচ্ছে অনেক বেশি। প্রমাণ সাইজের একটি ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা। বড় বাঁধাকপি ৪০ টাকা। পুরান গোলআলা এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। নতুন আলু বড়টা ৪০ টাকা কেজি। একটু ছোটটা ৩৫ টাকা।

মানভেদে সিমের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা। লাউ ৬০ টাকা পিস। টমেটো ৮০ টাকা কেজি। গোল বেগুন ৬০ টাকা। কচুর লতি ৬০ টাকা কেজি। একমুঠো শাক ২০ টাকা। লাউশাক চারটির এক আঁটি ৩০ টাকা। পিঁয়াজ পাতা মাঝখানে ছিল ৬০ টাকা কেজি, বর্তমানে যা ১০০ টাকা।

বাজারে সবকিছুর ঊর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ বাড়তি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে না পেরে চরম বিপাকে পড়ছেন। সন্তানদের ভর্তির এ সময়ে রাজধানী ঢাকার নিম্ন-মধ্যবিত্তরা চোখে সরষে ফুল দেখছেন।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার এভাবে বেড়ে চললেও কারো যেন মাথা ব্যথা নেই। এগুলো দেখার জন্য কেউ আছে বা কোনো কর্তৃপক্ষ আছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি দেখে অসহায় ক্রেতারা মনে করছেন, সিন্ডিকেটই সর্বেসর্বা। বিক্রেতার বেঁধে দেওয়া দামই শেষ কথা।

বাজারমূল্য সিন্ডিকেট ও অনৈতিক ব্যবসায়ীদের কাছে এভাবে জিম্মি হয়ে গেলে ক্রেতা সাধারণের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। নিত্যপণ্যের বাজারকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ও আনতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবি।

প্রতিবেদক : বিশেষ প্রতিনিধি- পিএনএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন