সরকারের ‘ব্যর্থতায়’ বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

  26-01-2021 09:26PM

পিএনএস ডেস্ক : বাজারে চাল, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট’ এবং তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)।

মঙ্গলবার ঢাকার ফার্মগেইটে বিএআরসি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে রাষ্ট্রীয় এই গবেষণা সংস্থা। তাদের প্রতিবেদনে উৎপাদন তথ্যের অসামঞ্জস্যতা মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।

বিএআরসির গবেষণা দলের সমন্বয়ক ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত বছর বোরোর সময়ে ৩৬ টাকা দরে চাল কিনতে চেয়েছিলাম। বাজারে দাম বেশি ছিল। মূলত আগের আমনে গরিব চাষিদের কাছ থেকে ৬ লাখ টন আমন কেনা হয়েছিল। এবার এক টনও কিনতে পারিনি। ৩৬ টাকা দামে কোনো চাষি আমন দেয়নি। এবার আমাদের আমনের দাম ছিল ১ হাজার ৪০ টাকা মণপ্রতি। কিন্তু ময়েশ্চারের ঝামেলা এড়াতে চাষিরা ভালো দামে বাজারে চাল বিক্রি করে দিয়েছে।

মিলার ও পাইকাররা বাজার পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে বলে স্বীকার করেন খাদ্যমন্ত্রী। বলেন, সরকারের কাছে পর্যাপ্ত চাল না থাকায় মিলাররা সুযোগ নিয়েছে। বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আমরা চিন্তা করছি, আগামী বোরোতে সংগ্রহ বাড়াব। সরকারের গুদামে চাল না থাকলে কোনোভাবেই দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

আমদানি উন্মুক্ত করে এর সমাধানের পথ খোঁজার কথা বলেছেন রাজ্জাক। তিনি বলেন, চাল আমদানির উপর ট্যাক্স কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে। কিন্তু আমদানিকারকরা বলছে, আমদানিতে এ ট্যাক্সে যে দাম পড়ে, সে দামে বাজার দরের সাথে বিক্রি করলে তাদের পোষাবে না। তারা ১০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় চাল, আলু ও পেঁয়াজ ইত্যাদির দাম বৃদ্ধির কারণ উদঘাটনের জন্য বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের নিয়ে গত বছরের ১২ নভেম্বর বিএআরসি কাউন্সিল মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি ‘স্টাডি টিম’ গঠন করা হয়।

গবেষণা কাজটি মূলত ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) এবং কি ইনফরমেন্ট ইন্টারভিউর (কেআইআই) মাধ্যমে প্রাথমিক ও বিভিন্ন উৎস থেকে মাধ্যমিক তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।

ধান-চাল বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে নওগাঁ, শেরপুর, কুমিল্লা ও ঢাকা জেলা; আলুর ক্ষেত্রে মুন্সীগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর ও ঢাকা জেলা এবং পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ফরিদপুর, পাবনা, নাটোর ও ঢাকা জেলা নির্বাচন করা হয়।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কাউন্সিলে আয়োজিত এক কর্মশালায় স্বতন্ত্র তিনটি খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপিত হয়। কর্মশালার সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার প্রকাশিত হল।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন