এবারো করোনার হানা চামড়া ব্যবসায়

  10-07-2021 05:40PM

পিএনএস ডেস্ক : এবারো করোনা হানা দিয়েছে চামড়া ব্যবসায়। চামড়া ব্যবসায়ীদের হতে নগদ টাকা নেই। ব্যাংক থেকেও ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিগত দিনের বকেয়া পরে রয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ট্যানারিগুলোতে। উত্তরাঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার চামড়া ব্যবসায়ী টাকার অভাবে এবার চামড়া ক্রয় করতে পারবেন না বলে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। গত বছরের মত এবারো অর্ধেক দামে ট্যানারী মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করবে এমনটা শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ক’দিন পরেই কোরবানীর ঈদ।

এই ঈদকে ঘিরে প্রতি বছর চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা গেলেও করোনা এবারও এনে দিয়েছে ভিন্ন চিত্র। একে পূর্বের বকেয়া টাকা না পাওয়া অন্যদিকে করোনার কারণে অনেকস্থানে হাট বন্ধ থাকায় গরুর আমদানি তুলনামূলক কমে যেতে পারে এমন শঙ্কায় চামড়া ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের মাঝে হতাশার সুর লক্ষ্য করা গেছে ।

চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের প্রতি বছর কোরবানীর সময় প্রতিটি জেলায় দু’ থেকে আড়াই লাখ পিস চামড়ার আমদানি হতো। সেই হিসেবে প্রতি বছর কোরবানীর সময় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ পিচ গরুর চামড়া আমদানি হয়। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এবার সেই লক্ষ্য পূরণ হবে না। কয়েক বছর আগেও ২’শ ওপর চামড়ার গোডাউন ছিল। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৪০ থেকে ৫০টিতে।

এদিকে চামড়ার দাম এখন পর্যন্ত নির্ধারণ না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তাদের আশঙ্কা গত বছরের মত সিন্ডিকেট করে ট্যানারী মালিকরা এবারো চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ক্রেতা না থাকায় অনেকে খাসির চামড়া ফেলে দিয়েছেন। এবারও এমনটা হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ খান ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী জানান, উত্তরাঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীদের ২’শ কোটির বেশি টাকা ট্যানারীগুলোতে বকেয়া রয়েছে। সরকার বড় বড় ট্যানারিদের কোটি কোটি ব্যাংক ঋণ দেয়। কিন্তু চামড়া ব্যবসায়ীদের কোন প্রকার ব্যাংক ঋণ দেয়া হয় না। ফলে চামড়া ব্যবসায়ীরা ধার দেনা করে এ ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন।


পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন