ঈদকে সামনে রেখে সিন্ডিকেট বেপরোয়া

  21-08-2016 04:14PM

পিএনএস (মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান) : ঈদের আগেই বেড়ে গেছে কিছু পণ্যের দাম। ঈদকে সামনে রেখে সিন্ডিকেট যে সক্রিয়, পণ্য মূল্যবৃদ্ধি তার প্রমাণ দিচ্ছে। বাজারে কোনো কিছুর ঘাটতি নেই, নেই কমতি; অথচ দাম আকাশচুম্বি। নজরদারি না থাকায় একটি মহল নিরীহ ক্রেতা সাধারণকে জিম্মি করে বাড়তি দাম আদায় করছে।

দেশে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সব সময় যেন অপেক্ষায় তাকে সিন্ডিকেট করার জন্য। আদতে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় তারা বেপরোয়া। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ না থাকায় মহলটি সব সময় সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অবাধে ফায়দা লুটে যাচ্ছে।

সরকারি চিনিকলে চিনি নষ্ট হওয়ার খবর প্রা্য়ই মিডিয়ায় আসে। আসে অবিক্রীত থাকার অভিযোগ। আর সে চিনিই বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি ধরে। জবাবদিহির সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সব সময়ই গ্রাহক সাধারণের পকেট ঘটা করেই কাটছে মহলবিশেষ।

মাস দুয়েক আগেও চিনি বিক্রি হতো ৪০ টাকার মধ্যে। রমজানে সিন্ডিকেট সেটা নিয়ে যায় ৬০ টাকায়। তখন টিসিবি আর কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। গুণে-মানে ওই চিনিটা অনেকের কাছে সমাধৃত হয়।

ইতিমধ্যে ভোজ্যতেল লিটারে ৮ টাকা, পিঁয়াজ কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা, রসুন কেজিতে ৮০ টাকা, মসুর ডাল ২০ থেকে ৩০ টাকা, আদা ২০ থেকে ২৫ টাকা, লবণ ১৬ টাকা বেড়েছে। রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে দেশী ১৮০ টাকা, বিদেশী ২২০ টাকা কেজি।

যে লবণ উৎপাদন করে কৃষক ১০ টাকাও পায় না, সে লবণ ৩৮ টাকা কেজি! লাগাম ধরার মতো দরদি মানুষ সরকার ও প্রশাসনে না থাকায় সিন্ডিকেট ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছে। আর ক্রেতা সাধারণও বিক্রেতার বেঁধে দেয়া পণ্যমূল্য পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে।

চালের বাজারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। কেজিতে ৪ থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে নিচ্ছে দোকানি। কোনো কারণ ছাড়াই তারা বাড়তি দাম নিচ্ছে। এর মধ্যে মোটা চালের দামটাই বেড়েছে বেশি। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এভাবে বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়েছেন।

রমজানের পর বন্যা গেছে। মানুষ বন্যার দকল কাটিয়ে না উঠতেই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চক্রটিকে এখনই কব্জা না করলে মসলা নিয়ে তারা একই কাজ করবে বলে ক্রেতা সাধারণ আশঙ্কা করছেন। সিন্ডিকেটকে নিন্ত্রয়ণে দায়িত্বশীলদের এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন
ই-মেইল : [email protected]

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন