পিয়াজের দামে ঝাঁজ

  09-10-2016 06:33AM

পিএনএস: রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজিতে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। পাশাপাশি সবজির দামও বেড়েছে। তবে পিয়াজের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। গত সপ্তাহে দেশি পিয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায় । অন্যদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক মাসের পরিসংখ্যানেও পিয়াজের বাজার মূল্য ১০ শতাংশ বৃদ্ধির তথ্য উল্লেখ্য করা হয়েছে।

রাজধানীর কাওরান বাজারে সবজি কিনতে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, আগের চেয়ে সবজির দাম বেড়েছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহে ঘাটতির কারণে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে আমদানি কম থাকায় বাড়ছে পিয়াজের দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভারত থেকে আমদানি করা পিয়াজের দাম বাড়ছে। এই কয় দিনে কেজিতে প্রায় ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ভারতীয় পিয়াজ এখন খুচরা বাজারে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক মাস আগে দেশি পিয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখন ভারতীয় পিয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই দেশি পিয়াজের দামও ফের বাড়তে শুরু করেছে। কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা মইনুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর গত দুই সপ্তাহে ভারতীয় পিয়াজের দাম কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমদানি কমে যাওয়ায় ভারতীয় পিয়াজের দাম বাড়ছে। কিন্তু দেশীয় পিয়াজের দাম কেন বাড়ছে তা বলতে পারবো না। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের আগে দেশি পিয়াজের কেজি ৪৫ টাকা ছিল। পরে তা কমে ঈদের পরে ৩২ টাকায় এসেছিল। এখন আবার দাম বেড়ে ৩৫ টাকায় উঠেছে।
টিসিবি হিসাবে বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ (আমদানি) বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আর গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। আর গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে পিয়াজের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ।
বাজারে পিয়াজের দাম বাড়লেও রসুনের দাম স্থিতিশীলই আছে। দেশি রসুনের কেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় এবং চায়না রসুন ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হাতিরপুল বাজারের মুদি দোকানি মুক্তার আলী বলেন, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পিয়াজের দাম বাড়ছে। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে।
বাজারে ঢেঁড়স কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে দাম ৫০, ৫৫ টাকার মুলা ৬০, ঝিঙায় সাত টাকা বেড়ে ৬০, চিঁচিংগা ৫০ যা আগে ছিল ৪৫ টাকা। বরবটি ৮০, পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ আর কাঁচামরিচ ১৬০ টাকায়। ৮০ টাকার টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। এছাড়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, কচুর মুখী ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা, করলায় ১০ টাকা বেড়ে ৬০, পেঁপে পিস প্রতি ৩০, গাজর ৬০ টাকা, লেবু ৩০ টাকা (হালি), লাউ ৩০ টাকা, প্রতি কেজি দেশি আলু ২৫ টাকা ও ভারতীয় আলু ২২ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। লালশাকের আঁটি প্রতি ছয় টাকা বেড়ে ১৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া পিস প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, পুঁইশাক আ?ঁটি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা ও কাঁচাকলা হালি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাওরান বাজারে মাছের দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। রুই মাছ (ছোট) ২৪০ টাকা, রুই (বড়) ৩৫০ টাকা কেজি। পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, কই (ছোট) ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং (ছোট) ৩২০ ও শিং (বড়) ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা আসিফ বলেন, প্রায় সবকিছুর দাম একটু বেশি। এর মধ্যে পিয়াজের দাম বেড়েছে। তিনি ?বলেন, বাজার অবস্থা কখন কেমন যায় কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এই বাড়ছে এই কমছে। তবে আমরা যেমন কিনতে পারবো তেমনই বিক্রি করবো।


পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন