এসকর্ট গার্ল থেকে মাদক, সবই অনলাইনে

  17-10-2016 05:22PM

পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশে অনেক আগ থেকেই অনলাইনে ব্যবসা শুরু হয়েছে। হাতি, ঘোড়া, গরু, মাছ মাংস সবই এখন পাওয়া যায় অনলাইনে। বাকি নেই যৌন ব্যবসাও। এর সঙ্গে এখন নতুনভাবে যোগ হয়েছে মাদক ব্যবসা। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেই চালানো হচ্ছে এসব ব্যবসা। বাংলাদেশে ভেজাল-বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের দৃশ্যপট দেখা গেলেও যৌন ব্যবসা কিংবা মাদক বাবসা নির্মূলে এমন কর্মকাণ্ড খুব কমই দেখা যায়।

অনেকে আগ থেকেই সচেতন মহলে যৌন ব্যবসা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। দাবিও জানিয়েছিল যাতে এসব সাইট বন্ধ করে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করা হয়। সম্প্রতি কিছু চলমান সাইট ঘুরে দেখা গেছে যৌনতা আগ্রাসনের ভিন্ন চিত্র । সেখানে নাম দেয়া হয়েছে ‘এসকর্ট গার্ল’। অনেকগুলো ওয়েবসাইট পাওয়া গেছে যারা এই এসকর্ট গার্লের ব্যবসা করছে। এসব ওয়েবসাইটে তরুণীদের যৌনাবেদনময় ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরিষ্কার ভাষায় এসব নারীর ছবিসহ চুল থেকে পায়ের নখের বিবরণ দেয়া আছে।

এমনকি ছেলে এসকর্ট চাইলেও পাওয়া যায়। মেয়েদের মতো তাদেরও আকর্ষণীয় ছবিসহ বর্ণনা রয়েছে। ওয়েবসাইটগুলো ঘেঁটে দেখা গেছে, এখানে দু’টি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে এই এসকর্ট গার্লদের। এদের বলা হচ্ছে হাইক্লাস এসকর্ট গার্ল। এর একটি এ প্লাস ক্যাটাগরি, আর অন্যটি ডাবল এপ্লাস ক্যাটাগরি। ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির এই মেয়েদের ছবির পাশেই ডলারে এবং টাকায় লেখা রয়েছে এদের সঙ্গ পেতে চাইলে কেমন খরচ লাগবে। অনলাইনে অর্ডার নেয়া হয়, আর অর্ডার পেলে জায়গামতো কাঙ্ক্ষিত তরুণীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অথবা চাইলে তারাই সব ব্যবস্থা করে দেয়।

ঠিক এমনই একটি ওয়েবসাইটে দেয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সুমন নামে এক ব্যক্তি ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলে দাবি করেন। কেমন এসকর্ট গার্ল আছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো বলেন, আপনার কেমন এসকর্ট গার্ল লাগবে? যেমন চান, ঠিক তেমনই দেয়া যাবে। কোথায় আসতে হবে জানতে চাইলে সুমন বলেন, ওয়েবসাইটে দেয়া নম্বরে আগে বুকিং মানি পাঠিয়ে দেন। তারপর আমরাই আপনার সাথে যোগাযোগ করব।

সম্প্রতি অনলাইনেই শুরু হয়েছ মাদক দ্রব্যের অবৈধ রমরমা বিক্রি। এ প্রক্রিয়ায় সহজেই মিলছে মদ। বিকাশে পেমেন্ট দিলে ঘরে বসেই মদের বোতল পেয়ে যাচ্ছেন আগ্রহীরা।

পেমেন্ট দিয়ে আবার অনেকে প্রতারিতও হচ্ছেন। তবে নানা কারণে সেসব প্রতারণার কথা পুলিশের কাছে জানাচ্ছেন না তারা।

সম্প্রতি মনিরুল ইসলাম মাসুদ নামে এক ব্যক্তি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘মাদক দ্রব্য বহন কিংবা অনুমিত স্থানের বাইরে মাদক নেয়া আইনত দণ্ডনীয়। সেখানে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফেসবুক পেজ খুলে প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি চলছে। তা ডিএমপির পক্ষ থেকে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না?’

তার এমন অভিযোগের জবাবে ডিএমপি জানিয়েছে, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ’।

অনলাইন বার বিডি নামে একটি ফেসবুক পেজে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে রয়েছে একটি মোবাইল নম্বর। যে নম্বরটিতে যোগাযোগ করে লোকেশন দিয়ে মদের অর্ডার দেয়া যায়। পেজটি জুড়ে দেশি-বিদেশি নানা ব্র্যান্ডের ছবি রয়েছে। সঙ্গে দেয়া হয়েছে অফারও।

ওই পেজে যে মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে তাতে যোগাযোগ করা হলে এক ব্যক্তি রিসিভ করে বলেন, ‘স্যার বলুন, আপনার জন্য কী করতে পারি?

কৌশলী ভূমিকায় হুইস্কি চাইলে তিনি বলেন, বিকাশ নম্বরে ফিফটি পারসেন্ট টাকা পেমেন্ট দিতে হবে। এরপর কাঙ্ক্ষিত লোকেশনে পৌঁছে দেয়া হবে হুইস্কির বোতল।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন