১০ দিন পারও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক

  05-12-2016 07:25AM


পিএনএস ডেস্ক : ঝিনাইদহের সেই কিশোরী ধর্ষনের ১০ দিন পার হওয়ার পরেও গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক দোলন। ধর্ষনের পরে দাম্ভিকতার সাথে খোলা আকাশে মুক্ত বাতাসে এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে দোলন। পুলিশ এব্যাপারে কোন তৎপরতা দেখাচ্ছেনা বলে সাংবাদিকের নিকট অভিযোগ করে বলেন, সুমির পরিবার।
সুমির পরিবার আরো বলেন, আমরা বর্তমানে অসহায় অবস্থায় সবাই যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এদিকে আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না। অন্যদিকে আসামিদের পরিবার বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে চাপ সৃষ্টি করেই চলেছে। দোলনের পিতা শুকুর গ্রামের প্রভাব সালিদের কে দিয়ে হুমকি-ধামকি সহ প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ও দেখাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে এসে বলে মামলা তুলেনিতে না নিলে সুমি সহ আমাদের কেউ গ্রামছাড়া করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।
এদিকে সুমির পরিবার প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করে বলেন, আমরা গরিব বলে কি সঠিক বিচার পাব না? উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা নদীপাড়ায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় মামলায় এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। ২৪শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে পুলিশের অভিযানে তিন জনের মধ্যে ধর্ষক রাব্বি নামের একজন কে আটক করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: স্বপন কুমার কুন্ডু জানান, বুধবার মধ্যরাতে মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার কাগজ পত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহের শোভা এনজিও মানবাধিকার কর্মী পাপিয়া সুলতানা ধর্ষিতা কিশোরী সুমির উদ্বৃতি দিয়ে জানান, ২২শে নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে মেয়েটি পাশের বাড়িতে এক হুজুরের কাছে পানি পাড়া আনতে যাচ্ছিলো। এ সময় খাজুরা গ্রামের বখাটে যুবক শুকুর বিশ্বাসের ছেলে দোলন, মধু মিয়ার ছেলে রাব্বি ও আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুম তাকে জোর করে একটি ইজিবাইকে তুলে নিয়ে তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে।
ধর্ষন করার পর তিন লম্পট হতদরিদ্র পরিবারটিকে হাসপাতালে ভর্তি, থানায় মামলা এমনটি লোক জানাজানি না করতে হুমকী দেয়, করলে খুন কওে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন সুমি। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে পরিবারটি। মানবাধিকার কর্মী পাপিয়া সুলতানা আরো জানান, বুধবার বিকাল নাগাদ মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই দিন মধ্যরাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি সামাজিক ভাবে মিটিয়ে ফেলার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের ভাই জাহাঙ্গির আলম এবং মা জাহানারা বেগম সাংবাদিকদের নিকটে এ অভিযোগ করেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার সাংবাদিককে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বড় ভাই বাদী হয়ে ধর্ষক দোলন সহ রাব্বি, মাছুম নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পুলিশ রাব্বি কে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রথম আসামী দোলন এখন গ্রামছাড়া আছে তাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন