পাউবো’র ড্রেজার সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত : ড্রেজার পরিদপ্তর এখন দুর্নীতির ভাগাড়

  05-12-2016 08:02PM

পিএনএসঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের শীপ বিল্ডার্স সেক্টর উন্নয়নের মহীসোপানে পা বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই নৌ-যান তৈরী করে দেশের চাহিদা মেটানোর পর বিদেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নৌ-যান রপ্তানী হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বিরাট সাফল্য। একই ভাবে ড্রেজার তৈরী শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন, পরিকল্পনা ও আনুকূল্য রয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশীয় ড্রেজার শিল্পের বিকাশের কথা অত্যন্ত গর্বের সাথে উচ্চারণ করেছেন এবং এই শিল্পের বিকাশে সম্ভাব্য সব কিছু করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের বারবার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ইতিমধ্যে দেশে তৈরী ড্রেজারগুলো চ্যানেল খনন, নৌ-পথ পুনরুদ্ধার এবং নৌ-পথের নাব্যতা রক্ষায় ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ড্রেজারগুলো উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু অতি সম্প্রতি দেশীয় ড্রেজার কোম্পানীগুলোকে পথে বসাতে একটি চক্র ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকলে দেশীয় ড্রেজার শিল্পের বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হবে। দেশীয় ড্রেজার শিল্পের টিকে থাকা এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে সদাশয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

সূত্র মতে, বাংলাদেশে তৈরী ড্রেজারগুলো ব্যবহার করে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল খনন করার পাশাপাশি অনেক দুঃসাধ্য সাধন করা হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহাজাহান খান এমপি, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডক্টর জাফর আহমেদ খানসহ সংশ্লিষ্ট সেক্টরের অনেক প্রাজ্ঞ টেকনিক্যাল এক্সপার্ট দেশে তৈরী ড্রেজারের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু অতি সম্প্রতি পাউবো’র দুর্নীতিগ্রস্থ ড্রেজার পরিদপ্তরের একটি চক্র দেশীয় ড্রেজার ক্রয়ের পরিবর্তে চায়না ড্রেজার ক্রয়ের ধান্ধায় অস্থির হয়ে পড়েছে। দরপত্রের মূল্যায়ণ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই কে কাজ পাবে আর কাকে কাজ দেওয়া হবে না তা নিয়ে সরব আলোচনা এবং হুমকি-ধামকি চলছে যা আইনের দৃষ্টিতে গর্হিত অপরাধ এবং আদালতে চ্যালেঞ্জযোগ্য।

সূত্রমতে, চীনের যে দু’টি বড় কোম্পানী বাংলাদেশে ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাদের সক্ষম ড্রেজারগুলোই চীনে তৈরী নয়। চায়না হারবার এবং সিনো-হাইড্রোর বৃহদাকার ড্রেজার আইএসসি কর্তৃক তৈরী করা হয়েছে। তাছাড়া পাউবো চীন থেকে যে সমস্ত ড্রেজার ক্রয় করেছিল সেগুলো বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অপরদিকে, যে সমস্ত বেসরকারী কোম্পানী চীন থেকে ড্রেজার ক্রয় করেছিল তারা এখন মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। পাউবো এবং বিআইডব্লিউটিএ’র কাজে নিয়োজিত বেসরকারী ড্রেজিং কোম্পানীগুলোর সাথে যোগাযোগ করলে এই অভিযোগের সত্যতা মিলবে।

সূত্র জানায়, পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক পাউবোকে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সফল হলেও ড্রেজার পরিদপ্তরের দুর্নীতি দূর করতে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন। বিশেষ করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ড্রেজার পরিদপ্তরের দুর্নীতি কমাতে বারবার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিলেও তার পরিশ্রম ভেস্তে গেছে। ড্রেজার ক্রয়ে দেশীয় কোম্পানীগুলোকে এড়িয়ে মানহীন চায়না ড্রেজার ক্রয় করা হলে এই ব্যর্থতা ষোল কলায় পূর্ণ হবে। (চলবে)

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন