ধর্মীয় উৎসব নাকি নষ্টামি! নারীদের শ্লীলতাহানি নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়(ভিডিওসহ)

  16-03-2017 02:47AM

পিএনএস ডেস্ক: দোলযাত্রা বা হোলি, সনাতন ধর্মাবলম্বিদের একটি ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর বাংলা ফাল্গুণ মাসের পূর্ণিমা থেকে শুরু করে ৩-১৬ দিন পর্যন্ত এই উৎসব পালন করে তারা। এবার অতি জাকঝমকপূর্নভাবে তাদের এই ধর্মীয় উৎসবটি পালন শুরু করা হয়।

গত ১২ই মার্চ রোববার রাজধানীর অন্যান্য স্থানের ন্যায় শাখারি বাজারেও উৎসব শুরু করে তারা। তথ্য অনুযায়ী পূর্ব থেকেই এই উৎসবের জন্য ফেইসবুকে প্রচারনা চালানো হয়। এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে অনেক মুসলিম নামধারী ছাত্র-যুবকরাও অংশগ্রহণ করে।

সারা দিন চলতে থাকে উৎসব। ছাত্র-যুবক, নারী-যুবতি, বেশী বয়স্ক, মধ্য বয়স্ক অনেককেই এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে। দিন যত গড়ায় আনন্দ উচ্ছাসও বাড়তে থাকে । ছেলেরা মেয়েদেরকে এবং মেয়েরা ছেলেদেরকে রং মাখতেই বেশী দেখা যায় এতে । একই সময়ে একজন মেয়েকে ৫-৭ জন ছেলে মিলে জড়িয়ে ধরে রং মাখার চিত্রও ধরা পড়ে যমুনা টিভির ক্যামরায়। এসব ছিল উৎসবের অংশ।

উৎসবে নোংরামি শুরু হয় গলি থেকে যখন মূল রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে উৎসবকারীরা। যমুনা টেলিভিশনের একটি ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তায় রিক্সায় থাকা, হাটতে থাকা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, চাকরিজীবী নারী সহ সকল নারীরাই টার্গেটে পরিণত হয় উৎসবকারী বখাটেদের। এ সময় নারীরা তাদের রক্ষা করতে চিৎকার করতে দেখাগেছে। এক ছাত্রী টিভি ক্যামরার সামনে কথা বলার সময়ও তাকে এক বখাটে রং মেখে দেয়ার চিত্র ধরা পড়েছে।

এক ছাত্রী আক্ষেপ করে বলতে থাকে ভয় লাগছে, খুবই খারাপ লাগছে, নিজের অনুমতি ব্যাতিত অন্য ছেলে মুখে হাত দিবে, এটা কেন?

মনে হয়েছে বখাটেরা এখানে রাজত্ব করছে। যাকে যেভাবে ইচ্ছা তারা রং মাখছে, গায়ে হাত দিচ্ছে, শ্লীলতাহানি করছে।

এক চাকরিজীবী নারী বলেন, আমি বার বার এ ছেলেগুলোর কাছে সরি বলেছি, কিন্তু তারা আমাকে কি করছে দেখেন। আমার চাকরিটা যদি আমি বাচাইতে না পারি এর ক্ষতি পূরণ কে দিবে?

অন্য একজন মহিলা বলেন, এসব আসলে নোংরামি বলা চলে।
একজন মধ্যবয়স্ক লোক বলেন, ভার্সিটির লোকেরা আইসা যে রকম উশৃংখলপনা করতেছে। এটা সীমার মধ্যে থাকা দরকার।

অন্যদিকে ফেসবুকে এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। হাজার হাজার ফেসবুক ইউজার তাদের টাইমলাইনে শ্লীলতাহানির বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও পোষ্ট করে নিন্দা জানাচ্ছেন এবং এদের বিচারের আওয়াত আনতে সংশ্লীষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছেন। কেউ কেউ এসব উৎসব নিয়ন্ত্রনের বিষয়েও পরামর্শ দিচ্ছেন।

এসব বখাটেদের নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে রাস্তায় নারীদের বের হওয়া অনিরাপদ হয়ে উঠবে বলে অনেকে মন্তব্য প্রকাশ করছেন।

অনেকে প্রশ্ন ছুড়েছেন আসলে এ সকল বখাটেদের বিচারের আনা হবে কি? আমাদের মা-বোনেরা রাস্তায় নিরাপত্তার সাথে বের হতে পারবে কি?

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন