অপকর্মের হোতা দূর্ধর্ষ অবশেষে পুলিশের খাচায়

  17-03-2017 06:55PM

পিএনএস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির কাঠালিয়া ও ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেল ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টানা ৯ঘন্টা সাড়াশি অভিযান করে ব্যার্থ হলেও অবশেষে পুলিশের কৌশলে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াস মুন্সিকে (৩০) আত্মসমর্পন করেছে। গত বৃহস্পতিবার গভির রাতে পুলিশের কৌশল অবলম্বন ও অনুরোধের পর সন্ত্রাসী ইলিয়াস মুন্সি নিজেইসেচ্ছায় ঘরথেকেবেড় হয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে। ইলিয়াস মুন্সি কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম আউরা গ্রামের মো. ইদ্রিস মুন্সির পুত্র।

জানাগেছে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের অবসরপ্রাপ্ত মাঠ কর্মী আলমগীর হোসেন হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক হত্যা, ডাকাতি ও সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলার আসামি দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াস মুন্সি পুলিশের খাতায় পলাতক থাকলেও কাঠালিয়া ভান্ডারিয়া এলাকায় অবস্থান করতো । সে কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম আউরা গ্রামের বাসিন্দা ও সমাজ সেবা অফিসের অপসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আলমগীর হোসেন হত্যা চেষ্টাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি ইলিয়াস মুন্সি ভান্ডারিয়ার শিয়ালকাঠি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী নাজির তালুকদারের পরিত্যাক্ত ঘরে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি মো. জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে ও ভান্ডারিয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামানের সহযোগিতায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি।

অভিযান টের পেয়ে ঘরের ভিতর বসে ইলিয়াস মুন্সি আড়ার সাথে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নেয় এবং পুলিশকে জানায় আমাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলেই আত্মহত্যা করব। পরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন ও অনুরোধের পর রাত ১১টায় সন্ত্রাসী ইলিয়াস মুন্সি ঘর থেকে বেড়িয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করে। বর্তমানে ৩০/৪০টির মত মামলা চলমান আছে বলেও জানায় পুলিশ। সর্বশেষ ৪ মার্চ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পশ্চিম আউরা গ্রামে স্থানীয় সমাজ সেবা অফিসের কর্মী স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টায় রড দিয়ে পিটিয়ে আহত ঘটনায় থানায় মামলা হয়।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন