শেরপুরে ১৭৭বস্তা চাল আটক

  30-03-2017 10:06PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের দেয়া দশ টাকা কেজি দরের চাল কালো বাজারে বিক্রির মহোৎসব চলছে। স্থানীয় কতিপয় ডিলার খাদ্যবিভাগের কর্তাদের সঙ্গে যোগসাজস করে এই চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এই চাল হতদরিদ্র ব্যক্তিদের না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি হওয়া ১৭৭বস্তা (৮হাজার ৮৫০কেজি) চাল আটক করা হয়েছে। গত বুধবার (২৯মার্চ) রাত অনুমান ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সরোয়ার জাহানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে মির্জাপুর বাজারস্থ তাপস কুমার মোহন্তের মালিকানাধীন গুদামঘর থেকে উক্ত চাল আটক করা হয়। তবে অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাপস কুমার পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সরোয়ার জাহান জানান, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের জন্য দশ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রির জন্য দুইজন ডিলার রয়েছে। এরমধ্যে চন্ডিপুর গ্রামের ডিলার কফিল উদ্দিন হতদরিদ্র ৭১৮জনের নামে বরাদ্দকৃত উক্ত পরিমাণ চাল উত্তোলন করে ছোনকা বাজারস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাখেন। পরে গত ২৮মার্চ হতদরিদ্র ব্যক্তিদের নামমাত্র টাকা দিয়ে উক্ত চাল মির্জাপুর বাজার এলাকার তাপস কুমার বসাকের কাছে বেশিদামে বিক্রি করে দেন। এরপর তাপস কুমার কালোবাজার থেকে কেনা উক্ত পরিমাণ চাল কয়েকটি ভটভটি যোগে তার গুদামঘরে নিয়ে আসেন।

গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয় এবং চালগুলো আটক করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদি হয়ে থানায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে এই কর্মকর্তা জানান। তবে অভিযুক্ত ডিলার কফিল উদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, উক্ত চালগুলো তিনি বিক্রি করেননি। তার উত্তোলনকৃত চালের মজুদ ঠিক আছে বলে তিনি দাবি করেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন