পিএনএস, যশোর প্রতিনিধি : যশোরের সাহসী পুলিশ সুপার কর্তৃক মাদক ও জঙ্গী তৎপরতা এবং অপরাধ দমনে একশ’ দিনের গ্রেফতার কর্মসূচীকে পুঁজি করে ডিবি পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তারা অর্থ বাণিজ্যে নেমে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদক ও চোরাচালানী ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতার করে মাদক দিয়ে চালান ও ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের অর্থ। এ তথ্য বিভিন্ন সূত্রের।
ডিবি পুলিশের এহেন কর্মকান্ড তদন্ত করতে দাবি জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃতদের পরিবার। নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ,গত শুক্রবার ১২ মে দুপুর ১২টার দিকে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে এসআই আবুল কালাম ও ,এএসআই আলমগীরসহ কয়েকজন পুলিশ ওই গ্রামের মৃত মিয়ারাজের ছেলে শুকুর আলীকে আটক করে। শুকুরকে ডিবি অফিসে রেখে স্বর্ণচোরাচালানী মামলায় তার সাথে ১০ বছর আগে কে ধরা পড়ে তা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে একই গ্রামের মৃত হেকমত আলীর ছেলে আব্দুর রশিদের কথা বলে। শনিবার ১৩ মে রাতে আব্দুর রশিদকে বাড়ি থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। তাদের দু’জনকে ৫ দিনেও আদালতে চালান না করে আটক রেখে পরিবারের সদস্যদের কাছে ৪০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে গুলি করে পা উড়িয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।,
এদিকে ডিবির ওসি ইমাউল হাসানের কাছে দুজনের আটকের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন শুকুর নামে কাউকে আটক করা হয়নি। আব্দুর রশিদকে শহরতলীর পালবাড়ি থেকে আটক করা হয়। তাকে মামলা দিয়ে চালান দেয়া হয়েছে।
পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল
যশোরে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ
18-05-2017 04:52PM