যেভাবে মিলিত হতো সমকামীরা!

  21-05-2017 09:32AM

পিএনএস ডেস্ক: তাদের পরিচয় ৮ মাসের। এই ৮ মাসে তারা ১৮ বার একত্রে জড়ো হয়েছিল। কখনো কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজারের ছায়ানীড় কমিউনিটি সেন্টার আবার কখনো নারায়ণগঞ্জের পাগলা আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে। ‘টুগেদার’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছিল গ্রেপ্তারকৃতদের একজন। ফেসবুকের ওই পেজের প্রথম বন্ধু হয় আরেক সমকামী। আস্তে আস্তে তাদের বন্ধুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ওই পেজে বন্ধুর সংখ্যা ছিল ৯০ জন। তবে বন্ধুদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন সরাসরি সমকামিতায় লিপ্ত হতো। আবার কেউ লিপ্ত না হলেও এটাকে সমর্থন করতো। সমকামিতার অধিকার নিয়ে পেজে বিভিন্ন লেখালেখি ও কমেন্ট করতো। র‌্যাব তাদের পেজটি ব্লক করে দিয়েছে। অনুসন্ধান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নম্বর-১৭। কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মেহেদী হাসান ২৭ জন তরুণসহ কমিউনিটি সেন্টারের ম্যানেজার জসিম উদ্দিনকে আদালতে হাজির করলে আদালত প্রত্যেকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ বিষয়ে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, তারা সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একত্র হয়েছিল। ‘টুগেদার’ নামে তাদের একটি পেজ ছিল। সেখানে তাদের একে অপরের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর তারা ঢাকার অদূরে কোনো একটি স্থানে মিলিত হওয়ার উদ্যোগ নেয়।

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের কাছে সমকামিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তাদের স্বপক্ষে নানারকম যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করেছে। র‌্যাব-১০ এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যেসব সমকামী গ্রেপ্তার হয়েছে তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। তারা জানিয়েছে, তারা একে অপরকে প্রায় ৮ মাস ধরে চেনে। তবে অনেকেই অনেকজনের বিস্তারিত পরিচয় জানে না। তারা কেরানীগঞ্জে আঁটিবাজারের ওই কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া।

সূত্র জানায়, সমকামিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত এক তরুণ গত ৮ মাস আগে ফেসবুকে টুগেদার নামে একটি পেজ খুলে। সে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। কিন্তু, মাদক ও সমকামিতার জন্য লেখাপড়া বেশি চালাতে পারেনি।
সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেরাই টাকা জোগাড় করতো। এদের মধ্যে কয়েকজন বিত্তশালী পরিবারের সন্তান ছিল। বিত্তশালী পরিবারের সন্তানেরা টাকা বেশি দিতো।

সূত্র আরো জানায়, ফেসবুকে তাদের বন্ধুত্ব হওয়ার পর তারা নিজেদের উদ্যোগে প্রত্যেকেই প্রত্যেকজনের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। যেদিন তারা মিলিত হতো তার আগে তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতো। ফোন করতো। এরপর তারা এক হতো। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তাদের সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ জোর করতো না। তারা নিজেরাই সমকামিতার ওপর বিশ্বাস করে সেখানে গিয়ে সমকামিতায় লিপ্ত হতো। সারারাত থেকে সকাল হলে তারা নিজ নিজ বাসায় চলে যেতো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মেহেদী হাসান জানান, শনিবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত প্রত্যেকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তারা ওই মাদক কিভাবে পেলো এবং সমকামী কিভাবে হলো তা জানার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন