বিয়ের আসরে মদ খেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়েছিল সাফাত

  23-05-2017 10:58AM

পিএনএস ডেস্ক: বেপরোয়া জীবনের কারণে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরুনোর আগেই নারী ও মদের নেশা পেয়ে বসে সাফাতকে। বন্ধুদের সঙ্গে তখন থেকেই বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিতো। পার্টিতে ঘটেছে অনভিপ্রেত নানা ঘটনা। বয়স ২৫ বছর হওয়ার আগেই নিজের ইচ্ছেমতো একে একে দু-দুটি বিয়ে। বিলাসিতা-বহুগামিতার কারণে কোনো বিয়েই টিকেনি। এভাবেই পা পা করে মাত্র ২৪ বছরের জীবনে এক অন্ধকার সাম্রাজ্য গড়ে তুলে সাফাত আহমেদ। যার পরিণতিতে গত ২৮শে মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে কারাগারে আটক রয়েছে সে।

সাফাত আহমেদের কাছের বন্ধু, স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে তার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

২০১১ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ কোর্সে ভর্তি হয় সাফাত। ওই সময়ে ক্লাসমেট লুদমিনা জেরিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। ২০১৩ সালে পরিবারের সবার অজান্তে লুদমিনা জেরিনকে বিয়ে করে সাফাত। যদিও এর আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল লুদমিনা জেরিনের। বিয়ের পর আর বিবিএ সম্পন্ন করা হয়নি। দুজনেই চলে যায় আমেরিকা। তিন মাস আমেরিকা থাকার পর দেশে ফিরে তারা। ততদিনে বিয়েটা মেনে নিয়েছে সাফাতের পরিবার। আনুষ্ঠানিকভাবে লুদমিনা জেরিনকে ঘরে তোলার আয়োজন চলছে। একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠান। সবকিছু ঠিকঠাক। এর মধ্যেই ঘটে ঘটনা। সাফাতের ফোনে বান্ধবীদের ক্ষুদেবার্তা। এ নিয়ে দুজনের বাকবিতণ্ডা। সাফাত মদ্যপ। মারধর করে লুদমিনা জেরিনকে। অবশ্য একই কারণে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী লুদমিনা জেরিনকে মারধর করেছে সাফাত আহমেদ। ব্যস পরদিন সকালে সাফাতের বাসা ছেড়ে মায়ের উত্তরার বাসায় চলে যান লুদমিনা জেরিন। তারপর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে দূরে থাক। বদলে যায় দৃশ্যপট। সাফাতকে ডিভোর্স দেন লুদমিনা জেরিন।

সূত্রমতে, ২০১০ সালের পর থেকে সবসময়ই কোনো মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সাফাতের। লুদমিনা জেরিনের সঙ্গে ডিভোর্সের পরও থেমে থাকেনি সাফাত। মেয়ে বন্ধু, মদ ও হোটেলের কক্ষে কাটতো তার সময়। কখনও কখনও চলে যেত দেশের বাইরে। থাইল্যান্ডে বাসা রয়েছে তাদের। সেখানেই বেশি যেত সাফাত। মাসে অন্তত দুই বার দেশের বাইরে যেত। স্বর্ণের ব্যবসার নাম করে বারবার ভারতে গেলেও সেখানে বিভিন্ন হোটেলে, বারে নিয়মিত আড্ডা দিত।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন