‘আপত্তিকর অবস্থায়’ ঢাবি’র ছাত্রলীগ নেতা!

  13-07-2017 08:52PM

পিএনএস ডেস্ক : মধ্যরাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ছাত্রলীগের সভাপতি। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কবি জসীম উদ্দিন হলের স্টাফ কোয়াটারে এ ঘটনা ঘটে। হলের স্টাফ কোয়াটারের পঞ্চম তলায় রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিনকে এক স্টাফের মেয়ের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখার পরে শোরগোল পড়ে যায়।

পরে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওই নেতাকে মারধর করে। পরে হলের সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থলে যেয়ে বোরহানকে রক্ষা করেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘটনার বিচারের আশ্বাস দেন। বোরহান উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং কবি জসীমউদদীন হলের ২০৬ নং রুমে থাকেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, বোরহান হলের এক স্টাফের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে পড়ান। কিন্তু মধ্যরাতে তো কাউকে পড়ানোর কথা নয়। তাছাড়া ঘটানার সময় হলের বারান্দার লাইট বন্ধ ছিল।

বিষয়টি নিয়ে বোরহানউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। আমি প্রতিদিনই পড়াতে যাই। বুধবার আমি রাত ১১টায় হলে ফিরি। তখন ছাত্রীর পরিবার থেকে আমাকে কিছু গাইডলাইন দিয়ে যেতে বলা হয়। কারণ ছাত্রীর পরীক্ষা ছিল। আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও যাই এবং পড়ানো শেষ করে রাত একটার দিকে হলে ফিরতে গেলে। ছাত্রীর পরিবার আমাকে খেয়ে যেতে বলেন। পরে খেয়ে রাতে ফিরতে ফিরতে পৌনে দুইটা বেজে যায়। তখন পাঁচ তলার বারান্দা দিয়ে আমি নিচে নামতে গেলে নিচ থেকে একজন দৌঁড়ে এসে লাইট বন্ধ করে দেয় এবং বলেন এত রাতে এখানে কি? পরে আমাকে নিচের তলার দিকে টেনেহিচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নিচে অপেক্ষারত কয়েকজন আমার সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে এবং হলের গেস্ট রুমে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে মেয়ের বাবাও ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তার মেয়েকে বোরহান পড়াতেন। বুধবার রাতে ওই ছাত্রলীগ নেতা তাদের ঘরে খাবার খেতে এসেছিলেন। কিন্তু বের হওয়ার সময় বেশ কয়েকজন তাকে টেনে হেঁচড়ে বের করে নিয়ে যান। এ সময় প্রতিবাদ করেও তাদের হাত থেকে বোরহানকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, যেখানে মেয়ের পরিবার থেকে ঘটনাকে সাজানো বলা হচ্ছে সেখানে আর কি বলার থাকে? এই ঘটনা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বোরহান তিন বছর যাবত ওই শিক্ষার্থীকে পড়ান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জসিম উদ্দিন হলের এক স্টাফ বলেন, তিনি স্টাফ কোয়াটারে থাকা এক কর্মচারীর মেয়েকে পড়ান। তবে রাত আড়াইটার সময়ে তিনি কোয়াটারে কি জন্যে এসেছিলেন তা আমাদের জানা নেই। এই ঘটনার পরে আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। কারণ অনেকদিন ধরেই কোয়ার্টার খালি করার জন্য চাপ আসছে। কোয়াটার খালি করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি ঘটানো হতে পারে।

প্রসঙ্গত, এর আগে জসিম উদ্দিন হলে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভায় স্টাফ কোয়ার্টার খালি করার জন্য প্রকাশে দাবিও তোলা হয়েছিল। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।

পিএনএস/জে এ মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন