সিটিং সার্ভিস বাসভাড়া নিয়ে ধুন্ধুমার

  18-07-2017 07:34PM

পিএনএস ডেস্ক : ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটিং সার্ভিস বাসচালক ও সহযোগীদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিকল্প অটো সার্ভিস নামের পরিবহনের তিনটি বাস কলেজের সামনে আটকে রাখেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাস তিনটি পুলিশ তেজগাঁও থানায় নিয়ে গেছে।

বিকল্প অটো সার্ভিসের বাস মিরপুর-ফার্মগেট-মতিঝিল রোডে চলাচল করে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই রুটের সিটিং সার্ভিস বাসগুলো তাঁদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া (হাফ পাস) নেয় না। তাঁদের দাবি, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার নিয়ম আছে। অর্ধেক ভাড়া দিতে গেলে বা এই কথা বললে চালক, সহযোগী ও বিভিন্ন পয়েন্টের চেকাররা মারধর ও গালাগালি করেন। বাস থেকে অনেক সময় ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়।

ওই কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের দুই শিক্ষার্থী আনন্দ ও রাকিব জানায়, ভাড়া নিয়ে বাসচালকদের সঙ্গে প্রায়ই তাদের গন্ডগোল হয়। গত রোববার তাদের দুই শিক্ষার্থীকে বিকল্প অটো সার্ভিসের একটি বাসের চালক, সহযোগী ও চেকাররা গালাগালি করেন। তাদের অভিযোগ, আজকেও বিকল্প অটো সার্ভিসের একটি বাস শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দিয়ে একদম গা ঘেঁষে বাস চালিয়ে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদে তারা এই প্রতিষ্ঠানের তিনটি বাস তাদের কলেজের সামনে নিয়ে এসেছে। তারা বাস ভাঙচুর করেনি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ বাসে উঠলে কোনো ভাড়া দেয় না। অথচ আমরা শিক্ষার্থীরা উঠলে তারা টালবাহানা করে। এই রুটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বাসগুলো যায়, সেগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়। কিন্তু বিকল্প, খাজা বাবা নামের পরিবহনগুলো তাঁদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয় না।

কলেজের সামনে আটকে রাখা তিনটি বাসের মধ্যে একটি বাসের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, চালকের সহযোগী ফয়সাল চালক রিয়াদের মাথায় পানি ঢালছেন। রিয়াদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়সাল বলেন, ‘জানি না কেন আমাদের আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে যত দূর জানি ভাড়া নিয়ে দুদিন আগে কোনো বাসের চালকের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঝগড়া হয়। আজ আমাদের বাসসহ আরও দুটি বাস ফার্মগেট পৌঁছালেই শিক্ষার্থীরা ঘিরে ফেলে। বাসে উঠে আমাদের মারধর করে। এতে চালকের মাথায় আগাত লাগে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।’

কলেজের সামনে কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকেরা এসে ছাত্র ও বাসচালকদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে রাজি হননি তাঁরা।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (পশ্চিম) লিটন কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন