ভাত চাওয়ায় ৯৮ বছরের বৃদ্ধা মাকে ছেলের নির্মম নির্যাতন

  16-08-2017 12:13AM

পিএনএস, ঠাকুরগাঁও:মা হলো পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা। মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিটির নাম ‘মা’, সেই ‘মা’ কেই মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তারই পাষন্ড বড় ছেলে বদিরউদ্দীন (৬০)।

মঙ্গলবার সকালে নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৪নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে। পাষন্ড ছেলের নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা ‘মা’ ঐ গ্রামের মৃত সফিরউদ্দীনের স্ত্রী তাসলেমা খাতুন (৯৮)।

তাসলেমা খাতুন বরাত দিয়ে গ্রামবাসী জানায়, বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুনের স্বামী মারা যাওয়ার ৩০ বছর হয়। মারা যাওয়ার সময় তার স্বামী দুই ছেলে দুই মেয়ে রেখে যায়, এবং দুই ছেলের নামে ৩ একর ৩০ শতাংশ জমি দলিল দেয়। এবং বসতভিটা বড় ছেলের ছেলে (নাতি) চালাকি করে বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুনের কাছ থেকে দলিল করে নেয়। সেই বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুন চোখে ঠিক মতো দেখা না, কানে তেমন শোনে না, মুখে কথা বলতে পারে না।

সরেজমিনে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ই আগষ্ট) সকালে বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুন ক্ষুধার্ত ছিলেন, তখন তিনি বড় বৌমার কাছে ভাত চাইতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী জানায়, খাবার কে কেন্দ্র করে বউয়ের কথায় ছেলে বদিরউদ্দীন বৃদ্ধা মায়ের মুখ বরাবর আঘাত করে। ঘটনাস্থলে বৃদ্ধা মায়ের বাম চোখের নিচ অংশ ক্ষত হয়ে রক্ত পাত হয়। নির্যাতন শেষে বাড়ির বাহিরে ফেলে রেখে যায়। তখনি গ্রামবাসীরা বৃদ্ধা মাকে মুমূর্ষু অবস্থা দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে।

কর্মরত চিকিৎসক জানায়, রোগীর অবস্থা খুব খারাপ তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাতে হবে।

এই বিষয়ে ছোট ছেলে হরিপুর উপজেলা শাখার বিআরডিবির কর্মচারী মোসলেমউদ্দীন (সুধু) মুঠোফোনে বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। এভাবে বিদ্ধা মাকে মারধর করা ঠিক হইনি।



পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন