কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম, ভোগান্তির শিকার রোগিরা

  17-08-2017 09:24PM

পিএনএস, কাপাসিয়া প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম আর ডাক্তার সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে কার্যক্রম। প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, ডাক্তার ও সেবিকাদের দায়িত্ব অবহেলার কারনে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহ জুড়ে নিয়মিত এমবিবিএস ডাক্তার না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা তরগাঁও গ্রামের রুহুল আমীনের পুত্র রিফাত (১৮) খিচুনি রোগে ভোগছে। সকালে জরুরী বিভাগের পরামর্শে ওয়ার্ড কেবিনে ভর্তি হয়েছে।

ডাক্তার না থানায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় রিফাতের অবস্থা আশংকাজনক হয়ে পড়ে। পরে স্বজনদের আহাজারীতে জরুরী বিভাগের ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। রোগীদের অভিযোগ হাসপাতালে মঙ্গলবার থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন এমবিবিএস ডাক্তার ছিলনা। উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটিতে প্রায় ৪ লাখ লোকের চিকিৎসা সেবা চলছে ধার করা ডাক্তার দিয়ে। হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন ৩শ থেকে ৪শ রোগী এই সেবা নিতে আসেন।

অথচ তারা যথাযথ সেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। ভূক্তভোগি রোগিদের অভিযোগে গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার ছাড়া আর কাউকেই পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে এ সময় পর্যন্ত কোন ওয়ার্ডে রোগিদের দেখতে কোন ডাক্তার না আসায় আত্মীয়-স্বজন ও দর্শনার্থীরা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ওয়ার্ড সুপারভাইজার জাকিয়া সুলতানা জানান, সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শণকালে কোন ডাক্তার দেখতে পাননি।

দায়িত্বরত ওয়ার্ড ইন-চার্জ সেবিকা হাজেরা জানান, ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগিদের আহাজারীতে জানতে পারি যে কোন ডাক্তার এ পর্যন্ত ওয়ার্ড গুলিতে আসেননি। পরে রোগিদের দেখার জন্য জরুরী বিভাগের ডাক্তারকে অনুরোধ করলে সে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে জরুরী বিভাগের ডাক্তার মেডিকেল অফিসার মাহমুদা ফেরদৌসী জানান, জরুরী বিভাগে আজ ৫’শ রোগি এসেছে। তিনি একাই সকাল থেকে দেড় শত রোগি দেখেছেন। ওয়ার্ডে কোন ডাক্তার না থাকলে তার কিছুই করার নেই।

তিনি আরো জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সালাম বুধবার হাসপাতালে আসেননি এবং বর্তমানে ৪ জন ডাক্তার ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ে আছে। জনবলের কারনে চিকিৎসাসেবা ব্যহত হচ্ছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ, সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের সাথে টয়লেটের কমোডের পানির ফ্লাশ টাংকিতে নবজাতক শিশুর মৃত দেহ কাপাসিয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এছাড়াও নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও দায়িত্ব অবহেলার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন