বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

  20-09-2017 09:49PM

পিএনএস ডেস্ক : শেরপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ছাত্রীর মা আজ বুধবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন।

আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি হলেন সদর উপজেলার সূর্যদী গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. শামিম মিয়া (২২)।

অন্য তিন আসামি হলেন একই উপজেলার বারঘরিয়া গ্রামের মৃত নছিমদ্দিনের ছেলে আবদুল বারি (৫৪), সূর্যদী গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মো. মতি (৩৫) ও আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. জিয়া (৩৫)। আবদুল বারি সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

ওই ছাত্রীর বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলায়। সে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

আদালতে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি শামিম মিয়া কলেজে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শামিম ছাত্রীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রী শামিমকে বিয়ের জন্য তাগিদ দেন। ১৭ সেপ্টেম্বর শামিম মুঠোফোনে ছাত্রীটিকে তাঁর (শামিম) সূর্যদী চারআনীপাড়া গ্রামের বাড়িতে ডেকে আনেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

নির্যাতন করে রক্তাক্ত ও জখম করেন। ওই দিন বিকেলে প্রধান আসামি শামিম মুঠোফোনে অন্য আসামিদের ডেকে আনেন। ২ নম্বর আসামি আবদুল বারি ওই ছাত্রীটিকে কুপ্রস্তাব দেন এবং একপর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে শামিম এবং ৩ ও ৪ নম্বর আসামি যথাক্রমে মতি ও জিয়া ছাত্রীটির গলায় থাকা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে (ছাত্রী) শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শামিম জোর করে ঘুমের ওষুধ মেশানো কোমল পানীয় পান করান এবং সাদা স্ট্যাম্পে ওই ছাত্রীর স্বাক্ষর নেন।

ওই দিন গভীর রাতে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য প্রধান আসামি শামিমের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। শামিমের মা তাছলিমা বেগম বলেন, তাঁর ছেলে শামিম কোথায় আছেন, তা তিনি জানেন না।

অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার ২ নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বারি সাংবাদিকদের বলেন, শামিমের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি (বারি) ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে ডেকেছিলেন। কিন্তু মেয়ে পক্ষ না আসায় তিনি রোববার রাত দুইটার দিকে সদর থানা-‍পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে মেয়েটিকে হস্তান্তর করেন। মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা তো দূরের কথা তিনি ওই ছাত্রীকে স্পর্শ পর্যন্ত করেননি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চক্রান্ত করছে বলে তিনি দাবি করেন।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন