পাউবো’তে ডিপিএম-এর নামে হচ্ছেটা কি? (পর্ব-৩)

  23-10-2017 06:38PM

পিএনএস(মোঃ শাহাবুদ্দিন শিকদার) : পাউবো’র ডিপিএম প্রথায় অনেক সময় সাব-কন্ট্রাক্টরকে খুজেই পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প মংলা-ঘষিয়াখালী আবার ঝুকিতে পড়েছে পাউবো’র সহায়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায়। বাগেরহাটের ৮৩টি খাল ও দুইটি টাইডাল বেসিন প্রকল্প মেয়াদে সম্পন্ন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাগেরহাট ডিভিশনের প্রকৌশলীরা এখনও জানেনই না কোন্ সাব-কন্ট্রাক্টর প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ফলে ঠিকাদারের সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নের শলা-পরামর্শ পর্যন্ত তারা করতে পারছেন না। বগুড়ার ভাঙ্গন কবলিত এলাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নও বিগত কয়েক বৎসর ধরে ঝুলে আছে ফলে প্রকল্প এলাকায় ক্ষয়-ক্ষতি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আঠারোবেকি-মধুমতি প্রকল্পও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। কোন কোন প্রকল্পে ৮/৯ জন প্রকল্প পরিচালক বদলী হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি।

অভিযোগকারীরা আরো জানান, ডিপিএম বর্তমান সরকারের ই-জিপি টেন্ডার প্রক্রিয়ার সাথে সাংঘর্ষিক। একদিকে, ই-জিপির মতো স্বচ্ছ ব্যবস্থায় দরপত্রের পাশাপাশি অন্যদিকে ডিপিএম অনেকটা বাতির নাচে অন্ধকারের মতো। তাছাড়া, ডিপিএম প্রথায় কমপক্ষে ৬টি পক্ষ কাজ করে বিধায় কমিশন, দালালের দালালী, নেগোসিয়েটরের পার্সেন্ট, ভ্যাট-আইটিসহ কমপক্ষে ৩০% টাকা প্রকল্প শুরুর আগেই বেহাত হয়ে যায়। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের মান কমে যায়। পাশাপাশি, সাব-কন্ট্রাক্টরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নেও নানা অনীহা কাজ করে।

অভিযোগকারীরা মনে করেন, পাউবো’র ঢাকা জোনের ডিএন্ডডি প্রকল্পের কাজ যেভাবে সেনাবাহিনীকে অর্পিত কাজ হিসেবে দেয়া হয়েছে ঠিক সেই ভাবে আরো কাজ বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে করালে ডিপিএম-এর প্রয়োজন পড়বে না। পাশাপাশি, যে সমস্ত কাজে সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষের বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদেরকে ডিপিএম-এর মাধ্যমে প্রদান করা যেতে পারে। বিশেষ করে ডিপিএম-এর মাধ্যমে কাজ প্রদানের সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সাব-কন্ট্রাক্টরের নাম জানতে হবে। উক্ত সাব-কন্ট্রাক্টর সংশ্লিষ্ট কাজে কারিগরীভাবে যোগ্য কিনা তা যাচাই করতে হবে।

সূত্র মতে, ইতিমধ্যেই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পাউবো ডিপিএম বাদ দিয়ে কিভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় কিংবা ডিপিএম-এর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প কিভাবে আরো নজরদারীতে আনা যায় সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এই সংক্রান্ত একটি নথি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। মাননীয় পানি সম্পদ মন্ত্রী আগামী রোববার সিংগাপুর থেকে দেশে আসার পরে এ ব্যাপারে একটি ইতিবাচক সার্কুলার জারীর সম্ভাবনা রয়েছে। (চলবে)

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন