পিএনএস ডেস্ক : কলকাতার সোনাগাছি পতিতালয়ে নিজের ওপর চালানো যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন বাংলাদেশী এক যুবতী। তাকে গৃহকর্মের প্রলোভন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতা। তারপর তার ঠিকানা হয়েছিল সোনাগাছি পতিতালয়।
সেখানে তার ওপর কয়েকদিন ধরে চালানো হয় যৌন নির্যাতন। ঘটনাটি ২০১২ সালের হলেও এ নিয়ে মামলা চলছে। সেই মামলায় পশ্চিমবঙ্গের আলীপুরে বসানো স্পেশাল কোর্টের সামনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকেই নিজের কাহিনী বর্ণনা করেছেন ওই যুবতী।
তিনি ময়মনসিংহ ডিসি অফিস থেকে ওই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। বিচারকের সামনে ভিডিও কনফারেন্সে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার এটি হলো দ্বিতীয় ঘটনা।
এর আগে ২০১৩ সালে ভারত সফরকালে আইরিশ এক যুবতীকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে কালিঘাটের এক বাসিন্দা। তা নিয়ে মামলা হলে প্রথম স্কাইপ মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ওই ধর্ষিতা। তবে বাংলাদেশী যুবতীর মামলার শুনানি শুরু হয় গত বুধবার বিকালে। দুই ঘন্টা চলে শুনানি। এ সময় আদালতে ছিল খুব কড়াকড়ি।
সাংবাদিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও ছিল কড়াকড়ি। বিচার চলাকালে ম্যাজিস্ট্রেট কুমকুম সিনহা শুধু সিনিয়র কাউন্সেলকে আদালতকক্ষে থাকার অনুমতি দেন। কোনো বিরতি ছাড়া এ প্রক্রিয়া চলে। পাবলিক প্রসিকিউটর তমাল মুখার্জী বলেছেন, নির্যাতিতা আদালতের সামনে তার বক্তব্য দিয়েছেন। এ সময় প্রতিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এসবই হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।
আলীপুরে এমন শুনানী এই প্রথম হলো। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে তখনকার ১৫ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশী কিশোরীকে ভারতে ভাল চাকরির প্রস্তাব দিয়ে রত্না বিবি নামে এক নারী নিয়ে যায় সীমান্ত পাড় করে। ওই কিশোরীকে গৃহকর্মের কাজ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রত্না।
কিন্তু তাকে নিয়ে সে সোজা চলে যায় সোনাগাছি পতিতালয়ে। সেখানে পরবর্তী ৯ দিন আটকে রাখা হয় ওই কিশোরীকে। এ সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করা হয়।
পিএনএস/জে এ /
ভিডিও কনফারেন্সে যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন বাংলাদেশী যুবতী
24-04-2018 05:36PM