পিএনএস ডেস্ক:রাজধানীর উত্তরায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে চালক ও তার সহযোগীরা মিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনা সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সংগৃহিত কিছু ভিডিওতে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরই ভিত্তিতে বাসের চালক ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান,গত শনিবার দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিট থেকে ১টা ১৩ মিনিট। বাড্ডা লিংক রোড থেকে তুরাগ পরিবহনের বাসটিতে ওঠেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির ওই শিক্ষার্থী। দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে ওই শিক্ষার্থী বাসটি থেকে নামেন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে। এই ২০ মিনিটের মধ্যে যৌন হয়রানির শিকার হন তিনি। এই দূরত্বের মধ্যে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে তুরাগ পরিবহনের বাসটির চালক রোমান ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।যৌন হয়রানির শিকার উত্তরা ইউনিভার্সিটর ওই ছাত্রী বখাটেদের শনাক্তও করার পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস ওঁঝা সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া তিনজন হলো তুরাগ পরিবহনের ওই বাসের চালক রোমান, তার সহযোগী নয়ন ও মনির। গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সহপাঠীকে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিচার চেয়ে রাজপথে অবস্থান নেওয়া উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বখাটে তিন পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পর তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে।
পিএনএস/আলআমীন
যৌন হয়রানির সত্যতা মিলিছে ফুটেজে
25-04-2018 12:05PM