পিএনএস ডেস্ক : খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাটের শরণখোলার কতিপয় ডিলারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার(১৪ সেপ্টেম্বর) শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারের ডিলার মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার যে চাল বিতরণ করেন তাতে বস্তা প্রতি ৫ থেকে ৬ কেজি চাল কম পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে ইউপি সদস্য তাসেন তালুকদার ও রায়েন্দা বাজার কমিটির সদস্য মো. ফারুক হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ডিলারের কাছে থাকা সেলাই করা ৩০ কেজি চালের বস্তার প্রতিটিতেই ৫ থেকে ৬ কোজি চাল কম পান। বিষয়টি পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসকে জানানো হলে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে চাল কম থাকা ৪ বস্তা সেলাই করা চাল জব্দ করেন।
ভুক্তভোগী রায়েন্দা বাজারের মিনারা বেগম, মরিয়ম বেগম, পূর্ব খাদার হালিমা, ফজলু, দেলোয়ার, আব্দুল জব্বার, সুজন ও উত্তর কদমতলা গ্রামের মিজান গাজীসহ অনেকে বস্তা প্রতি ৫-৬ কেজি চাল কম পাওয়ার অভিযোগ করেন। অপরদিকে উপজেলার আমড়াগাছিয়া, খোন্তাকাটাসহ অন্যান্য এলাকার ডিলাদের চাল বিতরণের ক্ষেত্রেও সেলাই করা বস্তায় চাল কম পাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
উল্লেখ্য, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির কার্যক্রম প্রতি বছরের মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে চালু থাকে। খাদ্য অধিদফতরের ওই কর্মসূচির আওতায় শরণখোলা উপজেলার ২০ জন ডিলারের মাধ্যমে ৮ হাজার দরিদ্র পরিবারকে এ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সেলাই করা বস্তায় চাল কম থাকার বিষয়টি নিয়ে সমালোচলা শুরু হলে কয়েকজন ডিলার চাল উত্তোলন নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেনে। এ বিষয়ে ডিলার মো. শহিদুল তালুকদার ও তাইজুল ইসলাম সরদার বলেন, খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৩০ কেজি চালের সেলাই করা বস্তা যেভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে আমরা সেইভাবে বিতরণ করছি। সেক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের কেউ চাল কম পেয়ে থাকলে দায় আমাদের নয়।
শরণখোলা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা দেবদুত রায় বলেন, পরিমাপ করে ডিলারদের চাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বিতরণের সময় চাল কম হয়ে থাকলে সে দায়-দায়িত্ব ডিলারদের।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, অভিযোগ পেয়ে একজন ডিলারের কিছু চাল জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিএনএস/এএ
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির বস্তায় ২৪ কেজি চাল!
15-09-2018 08:18AM