ভাই-বোনের সম্পর্ক থেকে অপহরণ

  13-06-2019 08:07AM



পিএনএস ডেস্ক: নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের রুবেল মিয়ার (১৯) সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ার মাধ্যমে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত রুবেল ওই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর ছেলে।

বুধবার ভোর ৩টার দিকে গাজীপুর জেলার চৌরাস্তা এলাকা থেকে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার করে নেত্রকোণা ডিবি পুলিশ। সেইসঙ্গে অপহৃতকেও উদ্ধার করে। তবে শাকিলসহ ওই চক্রের দুই নারী সদস্য পুলিশ অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যান।
প্রেফতাররা হলেন- ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার ছফির উদ্দিনের ছেলে পাভেল মিয়া (২২) ও একই জেলার পাগলা থানার ডিকরিভূমি গ্রামের সুজন উদ্দিন অপু (২৫)।

কীভাবে অপহরণ?
স্থানীয়রা জানান, অপহৃত রুবেল গত রোববার দুপুরে সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রস্তুতির জন্য ঢাকায় ট্রেনিং করার উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বাসে করে রওনা দেয়। পথিমধ্যে বাসে পাশে থাকা দুই নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভাই বোনের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যাত্রাকালে রুবেল ট্রেনিংয়ের সহকর্মীকে মোবাইল করলে জানতে পারে ট্রেনিং একদিন পর থেকে শুরু হবে। এ কথা পাশে থাকা ওই দুই নারী জানতে পারেন। পরে গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় আসলে দুই নারীর মধ্যে একজন বলেন, ভাইয়া যেহেতু ট্রেনিং একদিন পরে হবে, আমাদের বাসায় থেকে যান। এ অবস্থায় অপহৃত রুবেল সরল বিশ্বাসে ওই নারীদের বাসায় যান। কিন্তু গিয়ে দেখেন সুকৌশলে আরও তিন পুুরুষ সদস্য মিলে তাকে জিম্মি করা হয়েছে।

জিম্মি অবস্থায় থাকাকালে রুবেলকে মারধর করে বাবার মোবাইলে ১ লাখ টাকা বিকাশের দাবি করে চক্রটি। সেইসঙ্গে মারধর করতে থাকে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

ডিবি পুলিশের নারী সদস্যকে সাজানো হয় অপহৃতের স্ত্রী
এদিকে রুবেলের বাবা ও তার স্ত্রী স্বর্ণা জেলার ডিবি পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে ডিবি পুলিশ এই চক্রটিকে ধরার ফাঁদ পাতে।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এস এম আশরাফুল ইসলাম বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, রুবেলের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশের নারী সদস্যসহ গাজীপুরে পাঠানো হয়। সেখানে তারা তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অপহরহণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করেন এবং অপহরণকারীদের শর্ত মোতাবেক নারী পুলিশকে রুবেলের স্ত্রী সাজিয়ে দেখা করতে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চক্রের পাভেল ও সুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ।

তিনি বলেন, অপহরণকারীদের পাঠানো বিকাশ নম্বরে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ চক্রটি বিভিন্ন প্রতারণারমূলক কাজের একাধিক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে, তা প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। পলাতক দুই নারী নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার মেদনী গ্রামের বাসিন্দা। তাদের প্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন