এক প্রেমিকের বাড়িতে দুই প্রেমিকা, অতঃপর যা হলো

  21-06-2019 10:35AM

পিএনএস ডেস্ক: প্রেম কিংবা সম্পর্কের একটা পর্যায়ে বোঝাপড়ার অভাবে অনেক সময়ই বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হয় প্রেমিকা। দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত সুরাহাও হয়। কিন্তু যদি কোনও প্রেমিকের বাড়িতে একসঙ্গে দুই প্রেমিকা গিয়ে হাজির হয় তখন কেমন হবে!

সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বাইমাইল গ্রামে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। যা নিয়ে হাস্যরসের জন্ম হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

জানা যায়, সাব্বির হোসেন (২০) নামে এক যুবক একসঙ্গে দুইজন মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। কিন্তু তার চতুরতা শেষ পর্যন্ত গলার কাঁটা হলো। এক প্রেমিকার মায়ের করা অপহরণ ও যৌন নির্যাতনের মামলায় পুলিশ সাব্বিরকে আটক করেছে।

আটককৃত প্রেমিক সাব্বির মির্জাপুরের বাইমাইল গ্রামের কামরুজ্জামান খানের ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটে চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র।

আটকের একদিন পরই প্রতারক প্রেমিক সাব্বিরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তাছাড়া প্রতারণার শিকার স্কুলছাত্রী প্রেমিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়, মোবাইলে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রীদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক করতো সাব্বির।

এরই ধারাবাহিকতায় মির্জাপুর উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা ও টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং একই ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা ও কুরনী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাব্বিরের প্রেমের ফাঁদে পড়ে।

এর পর এক প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসার খবর অপর প্রেমিকার কানে গেলে ওই প্রেমিকারও সাব্বিরের বাড়িতে এসে হাজির হয়।

মির্জাপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মুরাদ হোসেন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন