বিশ্বব্যাংকের কাছে সর্বোচ্চ প্রত্যাশা অর্থমন্ত্রীর

  17-10-2016 01:04AM

পিএনএস ডেস্ক : বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে আগামী কয়েক বছরে সর্বোচ্চ সহায়তার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আমরা একজন ভালো ঋণগ্রহীতা। বিশ্বব্যাংক আমাদের যে ঋণসহায়তা দেয় তা সবটুকু আমরা ব্যবহার করি। তাই আশা করছি এই সংস্থার কাছ থেকে আগামী তিন বছর সর্বোচ্চ সহায়তা পাবো।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাংকের সাথে আমাদের একটি ঝামেলা ছিল। এখন তা কেটে গেছে।
রোববার বিকেলে সচিবালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে এ কথা বলেন তিনি।

এরপর অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিমানবন্দরের উদ্দেশে চলে যান।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট চার দিনের সফরে আজ বিকেলে ঢাকা এসেছেন।

সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, প্রায় ১০ বছর পর বিশ্বব্যাংকের কোনো প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম’কে ঘিরে সরকারের প্রত্যাশা কতটুকু।

এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রত্যেক প্রেসিডেন্টই বাংলাদেশে এসেছেন, দু-একজন ছাড়া। তাই জিম ইয়ং কিমের সফরটা হবে ‘ওয়েলকামিং ভিজিট’। এর আরেকটা কারণ হলো, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্টের সাথে আমাদের কিছু ‘ঝামেলা’ হয়েছিল। জিম ইয়ং কিম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেটা রিভিউ হয়েছে। রিভিউয়ের পর বেশ কিছু ঋণের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটিও একটি ইতিবাচক দিক।

বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের সফরে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, আমরা বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতাদের অন্যতম। এটি আগামী তিন বছরের জন্য চলমান থাকবে। পরের তিন বছরও আমরা সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতাদের তালিকায় থাকব।

ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ঋণগুলো সফট লোন নাকি হার্ড লোন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলমান আইডিএ’তে আমাদের ঋণের পরিমাণ ৫২ বিলিয়ন ডলার। পরের আইডিএ’র ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ হয়তো ৭৫ বিলিয়ন হতে পারে। এসব ঋণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সফট লোন বা নমনীয় ঋণ হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো ‘আপ স্কিল’ হতে পারে। যেগুলো ‘আপ স্কিল’ হবে সেগুলোর ব্যাপারে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা সবসময় মাঝামাঝি রাখতে চেষ্টা করি। আইডিএ’র ঋণের সবগুলোর ব্যবহারই ভালোভাবে হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের সফরে কোনো ‘সারপ্রাইজ’ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, আমাদের তরফ থেকে কোনো ‘সারপ্রাইজ’ নেই। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট আসছেন এটা একটা ভেরিগুড জেসচার। আর যেহেতু দারিদ্র্য বিমোচনের বিষয়ে উনি আসছেন, তাই আশা করি আমাদের সাফল্য বিশ্ব দরবারে হাইলাইট হবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট চার দিনের সফরে বিকেলে ঢাকায় এসেছেন। তিনি ঢাকা ছাড়বেন বুধবার সকালে। তিনি সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। এ সময় তারা যৌথভাবে প্রেস ব্রিফিং করবেন। এরপর তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি মহাখালিতে ব্র্যাকের একটি ‘বিকাশ’ অফিস পরিদর্শন করবেন। তিনি দুপুরে ওসমানী মিলনায়তনে ‘দারিদ্র্য বিমোচন’ অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে অবস্থানকালে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করবেন। সুশীল সমাজের সাথেও বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। বরিশালে তিনি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি সামাজিক কর্মসূচিও পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন