বেড়েছে ভোজ্যতেল ও আলুর দাম

  05-11-2016 05:17PM

পিএনএস ডেস্ক: এখনো স্বাভাবিক হয়নি রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। আগে থেকেই সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী। এর পর নতুন করে বেড়েছে ভোজ্যতেল, আলু ও মাংসের দাম। এ ছাড়া সবজির বাজার রয়েছে এখনো অপরির্তিত। পেঁয়াজ, রসুনসহ অন্য মসলার দাম আগের মতোই চড়া রয়েছে। তবে খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম কমেছে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা।

খুচরা ব্যবসায়ী অনেক ক্ষেত্রে আগের দামেই বিক্রি করছেন। নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক না হওয়ায় ভালো নেই সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, এভাবে আর চলে না। সব কিছুর দাম চড়া। সেগুনবাগিচা বাজারে কথা হয় মোরশেদ আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আর কবে দাম কমবে? প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। দিন দিন সব কিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচা ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক লিটারের বোতলজাত রূপচাঁদা সয়াবিন তেল ১০২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ৫০৫ টাকা দরে। এ ছাড়া অন্য কোম্পানির মধ্যে তীর, ফ্রেশ কোম্পানির এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৮ ও ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৪৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় লিটারে ২ টাকা বেড়েছে। কোম্পানি থেকে দাম বাড়িয়েছে বলে জানান তারা। এর বাইরে তারা বেশি কিছু জানেন না। এ ছাড়া চালের বাজারে গত সপ্তাহের মতো বাসমতি ৬০ টাকা কেজি, প্রিমিয়াম মিনিকেট ৫০, জিরা মিনিকেট ৪৫, স্টান্ডার্ড মিনিকেট ৪০, জিরা নাজির ৫৫, নাজির শাইল ৫২, ২৯ হাসকি ৪২, গুটি ৩৮ ও স্বর্ণা ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, খুচরা বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে সামনে মোটা চালের দাম কমতে পারে বলেও জানান তারা। চিনির দাম আগের মতোই রয়েছে। খোলা চিনি প্রতিকেজি ৭০ ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪০, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২৫-৩০, দেশি রসুন ১৬০, দেশি একদানা রসুন ২২০ ও আমদানি করা রসুন ১৯০ টাকা।

এ ছাড়া দেশি আদা ৯০ এবং চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। একই সঙ্গে সবজি বাজারে বরবটি ৭০-৮০, শিম ৭০-৮০, বেগুন ৭০-৮০, টমেটো ৮০, পটোল ৪০ ও গাজর ৫০-৬০ টাকা। নতুন আলু ১০০ ও পুরান আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও গত সপ্তাহে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে পুরান আলু। এ ছাড়া শীতের সবজি ফুলকপি-বাঁধাকপি ৩৫, মুলা ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, ঝিঙ্গা ৬০ ও ধুন্দল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগির মাংস ১৫০, লেয়ার মুরগির ১৬০, গরুর মাংস ৪৫০ ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি। প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৫ টাকা। সরকারিভাবে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এর পর আবারও বাজারে আসছে নতুন ইলিশ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি ধরনের প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০-২৫০০ টাকা। আর এক কেজির ইলিশের হালি বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া রুই মাছ ২৫০-৩০০, কাতল মাছ ২৫০-৩০০, তেলাপিয়া ১২০-১৫০, চায়না পুঁটি ১৫০-১৬০, পাঙ্গাশ ১২০ ও চাষের কৈ ২৩০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন