পিএনএস ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণার পর ভাটা পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জাল নোট, সোনা বা গরু পাচারের রমরমা ব্যবসায়। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় নতুন ব্যবসা হিসেবে জমজমাট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি দুই টাকার নোট ভারতে পাচারের ব্যবসা। এই নোট এখন ভারতের নেশাখোরদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। ফলে এটিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে ব্যবসা।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানিয়েছে, হেরোইন ও নেশার ট্যাবলেট ইয়াবা সেবনের সময় ওই নোটকে মুড়ে পাইপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নেশাখোরদের ভাষায় ওই পাইপের নাম ‘পান্নি’। বাংলাদেশের দুই টাকার নোট মুড়ে পান্নি বানিয়ে বেশ কয়েকবার নেশা করা যায়। ফলে ভারতের নেশাখোর ব্যক্তিদের কাছে ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশি দুই টাকার নোট।
বর্তমান মুদ্রামূল্য অনুযায়ী বাংলাদেশের দুই টাকার বিনিময়ে ভারতে পাওয়া যায় ১ দশমিক ৭২ রুপি। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশি দুই টাকার নোট ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সীমান্তবর্তী উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বসিরহাট, বনগাঁ, বাগদা, স্বরূপনগর, গেদে, বানপুর, ভগবানগোলা, লালগোলা, হিলিসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় মুদ্রায় পাঁচ রুপিতে। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট থানার পুলিশ কর্মকর্তা দেবাশীষ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, এত দিন নেশাখোররা রাংতা কাগজ ব্যবহার করে নেশা করত। কিন্তু এখন তারা নেশার পদ্ধতি পাল্টে বাংলাদেশি নোটের সাহায্যে নেশা করছে। এজন্য নোট পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পিএনএস/আলআমীন
বাংলাদেশি দুই টাকার দাম ভারতে ৫ রুপি!
16-11-2016 05:27PM